গাজীপুর প্যাসেঞ্জার্স কমিউনিটি”র উদ্যোগে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে মানববন্ধন”

Slider জাতীয় সারাদেশ

গাজীপুর: যাত্রীদের কল্যাণার্থে গাজীপুর প্যাসেঞ্জার্স কমিউনিটির ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে আজ ৬ মার্চ ২০২০ রোজ শুক্রবার সকাল ১১টায় জয়দেবপুর রেলস্টেশনে মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ ও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিমউদ্দিন বুদ্দিন, আওয়ামী লীগের সদস্য মো: আব্দুল হাদী শামীম, ইঞ্জি: সামসুল হক, শহিদুল আলম সহ প্রমূখ। কয়েকশত গাজীপুরবাসী মানববন্ধনে শরীক হন

গাজীপুরবাসীর দাবীসমুহের মধ্য
ক) সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি।
খ) তুরাগ ট্রেনে ১৫টি বগি, ২টি বগি নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
গ) টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটির যথাযথ ব্যাবহার নিশ্চিত করা।
ঘ) অফিস সময় বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তুরাগ ট্রেন ৮:৩০ এবং টাঙ্গাইল কমিউটার ৯:৩০ এর মধ্যে কমলাপুর পৌঁছার ব্যবস্হা করন এবং ফেরার পথেও অগ্রাধিকার দেয়া।
ঙ) জয়দেবপুর স্টেশনে টিকিট কাউন্টার বৃদ্ধি এবং সার্বক্ষণিক টিকিট প্রদানের ব্যবস্হা করা।
চ) টাঙ্গাইল কমিউটার ও তুরাগ দুটিকে অলস বসায়ে না রেখে একাধিকবার জয়দুবপুর-কমলাপুর চালানোর ব্যবস্হা করা।
চ) জয়দেবপুর স্টেশনের জন্য আন্তঃনগর ট্রেনের সিট সংখ্যা ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ বরাদ্ধ করা।
ছ) জয়দেবপুর স্টেশনকে প্রথম শ্রেণীর আধুনিক সুবিধা সংবলিত স্টেশনে উন্নীত করা।
জ) ট্রেনের সময়সূচী নির্ধারণে গাজীপুরবাসীর যৌক্তিক দাবীগুলিকে অগ্রধিকার দেয়া এবং গাজীপুর যাত্রী প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে সময়সূচী চুড়ান্ত করা।

উল্লেখ্য যে, গাজীপুর – ঢাকা প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ হাজার যাত্রী নিয়মিত যাতায়ত করে। সড়ক পথের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এবং ঢাকা শহরের যানজটের কারণে গাজীপুর-ঢাকা পথে প্রায় ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগে আর যেখানে রেলপথে সময় লাগে মাত্র ১ ঘন্টা। ফলে দিন দিন ট্রেন জনপ্রিয় হচ্ছে এবং ট্রেনের উপর চাপ বাড়ছে। প্রচন্ড ভীড় উপেক্ষা করে নিরুপায় হয়ে বাদুড় ঝোলা হয়ে মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করছে। এরকম অবস্থা থেকে উত্তরণে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আকম মোজাম্মেল হক, মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কপোরেশনের মাননীয় মেয়র জনাব জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলার এমপি মহোদয়গণ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ সকলের আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়া দুঃখজনক।

আরো উল্লেখ্য, রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে জয়দেবপুর রেল ষ্টেশন সারা বাংলাদেশে ৪র্থ। সেখানে সকল আন্ত:নগর মিলিয়ে মাত্র ৪০০টি আসনের বিপরীতে জয়দেবপুর রেল ষ্টেশনের দৈনিক রাজস্ব ৬ লক্ষ টাকারও বেশী। তারপরও রেল মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জয়দেবপুর রেলষ্টেশন তথা এই ষ্টেশনের যাত্রীদের সুবিধার প্রতি উদাসীনতা বোধগম্য নয়।

উল্লেখ্য : গত ৮ ফেব্রুয়ারি রোটারী ক্লাব অব গাজীপুর এবং গাজীপুর প্যাসেঞ্জার কৃমিউনিটির আয়োজনে জেলা শহরের শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে করে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে সকল আন্ত:নগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি ও জংশনটির আধুনিকায়নসহ আট দফা দাবি জানিয়েছিল জেলার বিশিষ্টজনরা।

: সম্প্রতি রেলমন্ত্রনালয় ঢাকা-জয়দেবপুর রেলরুটে চলাচলকারী কয়েকটি আন্ত:নগর ট্রেনের যাতাবিরতি জয়দেবপুর স্টশনে বাতিল করে। এই সংক্রান্ত সংবাদ সর্বপ্রথম গ্রামবাংলানিউজে প্রকাশিত হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে স্থানীয়র সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেন।। এরপর যাত্রীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি যাত্রীসেবা সংগঠন আন্দোলন শুরু করে। মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর শেষে রেলমন্ত্রনালয়ে স্বারকলিপি দেয়া হয়। অত:পর মন্ত্রনালয় তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *