পিরোজপুর: মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি এ কে এম এ আউয়াল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পিরোজপুর আদালত থেকে দু’মাসের জামিন পাওয়ার পর এ সংবাদ সম্মেলন করলেন তিনি।
বুধবার পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুপুরে ঘণ্টাব্যাপী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আউয়াল।
এ সময় আউয়াল অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার দুদকের দেয়া মামলায় তার জামিন নামঞ্জুর করতে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক আ: মান্নানকে প্রভাবিত করছেন মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম। তাছাড়া মন্ত্রী তার প্রভাব খাটিয়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে নতুন ও জামায়াত-বিএনপিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, তার (মন্ত্রীর) ভাইদের অনৈতিকভাবে ঠিকাদারী কাজে যুক্ত করে কয়েক শ’ কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ ভাগিয়ে নিয়েছেন। আলোচিত ঠিকাদার জি.কে. শামীমের কাছ থেকে মন্ত্রী তিনটি গাড়ি উপঢৌকন হিসেবে নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন আউয়াল।
মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া নিয়ে পিরোজপুর-১ আসনের বর্তমান এমপি মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করে আউয়াল বলেন, শ.ম. রেজাউল করিম ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সে হিসেব অনুযায়ী ’৭১ সালে তার বয়স ছিল ৯ বছর। একজন বাচ্চা কিভাবে সে সময় মুক্তিযুদ্ধে যায়। মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এহেন মিথ্যাচার ও নিজেকে স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা দাবি করা সঠিক নয়। এর জন্য তার জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
তবে অভিযোগের বিষয়ে মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের জানান, সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সর্বৈভভাবে অসত্য ও মিথ্যাচার।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ মো: আব্দুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করার চার ঘণ্টার মধ্যে অন্য একটি আদালত থেকে জামিন পান আউয়াল। এরই মাঝে বদলির আদেশ আসে জামিন না দেয়া জজ মান্নানের বিরুদ্ধে।