গ্রাম বাংলা ডেস্ক: চলমান বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে বাংলাদেশের দুই জেলায় দুই জন খুন হয়েছেন। এরমধ্যে টিভি বন্ধ না করায় স্বামী খুনের অভিযোগ আটক হয়েছেন স্ত্রী।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মিলন হোসেন (২০) নামে এক হোটেল শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। মিলন হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের কাসাইটারী বটতলা এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় বটতলায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল সমর্থকদের মধ্যে যুক্তিতর্ক চলছিল। এর একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুগ্রুপ এসময় পাল্টাপাল্টি পাথর ছুড়ছিল। একপর্যায়ে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বড় পাথরের আঘাতে গুরুতর আহত হন মিলনসহ ছয়জন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক এদের মধ্যে মিলনকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় রাত জেগে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর কোপে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে
বুধবার ভোরে বড়াইগ্রাম পৌরসভার উত্তর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সেলিম হোসেন (২২)। তার বাবার নাম আবুল হোসেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, সেলিমকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী জেসমিন বেগমকে (২০) আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, ভোর ৬টার দিকে সেলিমের বাড়িতে প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনতে পায়। এ সময় আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে গিয়ে সেলিমকে তার শোবার ঘরে গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জন্য প্রতিবেশীরা জেসমিনকে আটক করে।
প্রতিবেশী খলিলুর রহমানকে উদ্ধৃত করে ওসি জানান, আটকের পর জেসমিন ঘাসকাটার হাঁসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ দেয়ার কথা এলাকাবাসীর কাছে স্বীকার করেছেন।
সারারাত ধরে সেলিম টেলিভিশনে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখায় তার ঘুম হয়নি। টেলিভিশন বন্ধ করা নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাঁসুয়া দিয়ে স্বামীর গলায় কোপ দেন তিনি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
হত্যার প্রকৃত কারণ যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি ইব্রাহিম।