ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেললেন তামিম ইকবাল। তাতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ ইনিংসের নতুন রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৩৬ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। সঙ্গে মুশফিকুর রহীমের ৫৫, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৪১ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ১৮ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩২২/৮। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩২১ রান তুলেছিল টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।তামিম ইকবালের সঙ্গে চমৎকার শুরু করেন লিটন কুমার দাস। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে কাটা পড়েন দলীয় ৩৮ রানে। কার্ল মাম্বার করা ইনিংসের সপ্তম ওভারে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেন তামিম। বলটা মাম্বার হাতের তালুতে লেগে দিক পাল্টে আঘাত হানে স্টাম্পে।
উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া লিটন আর দাগ ছুঁতে পারেননি। ১৪ বলে দুই বাউন্ডারিতে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে ১২৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
দলীয় ৬৫ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন নাজমুল হাসান শান্ত। মাধেভেরের করা ১১তম ওভারে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে বল ঠেলেন শান্ত। তামিম তাকে কল করেই পৌঁছে যান অপর প্রান্তে। শান্ত তামিমের কলটা বুঝতে পারেননি। হাফসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থাকা সতীর্থের জন্য নিজের উইকেট বিসর্জন দেন তিনি। ১০ বলে ৬ রান করেন এই বাঁহাতি।
তৃতীয় উইকেটে তামিম-মুশফিকুর রহীমের ৯২ বলে ৮৭ রানের জুটিতে ১০০ পেরোয় বাংলাদেশ। মুশফিক ৫০ বলে ৫৫ রান করে আউট হন। চতুর্থ উইকেটে ১০৬ রানের জুটি উপহার দেন তামিম-মাহমুদুল্লাহ। দলীয় ২৫৮ রানে চার্লটন শুমার শর্ট বলে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন রিয়াদ।৫৭ বলে ৩ চারে ৪১ রান করেন তিনি।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারের ষষ্ঠ বলে ২ রান নিয়ে ক্যারিয়ারের ১২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তামিম। এরপর জিম্বাবুইয়ান বোলারদের ওপর চড়াও হন। একের পর এক বল সীমানা ছাড়া করেন।২০০৯ সালে বুলাওয়েতে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই তামিম খেলেছিলেন দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৪ রানের ইনিংসটি। এবার ১৫৮ রান করে ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। অন্যদিকে, ২০১৮তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের ১৪৪ রানের ইনিংসটি ছিল এতদিন পর্যন্ত ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে কোনো টাইগার ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। তামিম সেটিও ছাড়িয়ে গেছেন। ১৩৬ বলে ১৫৮ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২০ চার ও ৩ ছক্কায়।
পঞ্চম উইকেট মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে মাত্র ১৮ বলে ৩৪ রান যোগ করে দলীয় ২৯২ রানে আউট হন তামিম। মিঠুন ইনিংস শেষ করে মাঠ ছাড়েন। ১৮ বলে ৩২* রানের ঝড়ো ইনিংসটি সাজান ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। মাঝে মোহাম্মদ মিরাজ (৫) ও অধিনায়ক মাশরাফির (১) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে কার্ল মাম্বা ও ডোনাল্ড টিরিপানো নেন ২টি করে উইকেট। ওয়েসলি মাধেভের ও চার্লটন শুমার শিকার ১টি করে উইকেট।