নিজস্ব প্রতিনিধি গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থ উত্তোলন নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আলহাজ্ব নওয়াব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকের মাওনা চৌরাস্তা শাখা একাউন্ট থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা কোন রেজুলেশন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি উত্তোলন করেছেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এই দাতা সদস্যসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মকবুল হোসেন বলেন, জায়েদ আলী ফকির ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন বিদ্যালয়ের ১৫৬ জন এসএসসি পরীক্ষার্থীর বোর্ড ফি প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯শত ৩০টাকার চেক তুলে দেন করেন ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষক ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. লিয়াকত আলী ফকির। পরে বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে চেক কি কালেকশনের জন্য ব্যাংকে জমা দেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু ফ্রি দেওয়ার শেষ দিন ওই ফাউন্ডেশনের চেকটি বিদ্যালয় এর একাউন্টে কালেকশন হয়নি। কারণ ওই ফাউন্ডেশন এর একাউন্টে কোনো টাকা নেই। এমন বেকায়দায় পড়ে বিদ্যালয়ের সভাপতির শরনাপন্ন হন প্রধান শিক্ষক। তখন তিনি প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের টাকা পরিশোধ করার জন্য বলেন। এতে প্রধান শিক্ষক অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে এক প্রকার জিম্মি করে বিদ্যালয় এর একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেন সভাপতি মো.লিয়াকত আলী ফকির।
তবে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ মানতে নারাজ প্রধান শিক্ষক মো.আব্দুর রউফ সরকার। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি তার ফাউন্ডেশনের মান সম্মান বাঁচাতে আমাকে চাপ প্রয়োগ করে চেকে স্বাক্ষর নেন।
বিদ্যালয় সভাপতি ও ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো. লিয়াকত আলী ফকির সংবাদকর্মীদের বলেন, এমন একটি ছোট্ট ঘটনা নিয়ে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন। একটু অর্থনৈতিক সমস্যায় আছি, নয়তো এই টাকা আমার হাতের ময়লা। তবে প্রধান শিক্ষককে আমি চাপ প্রয়োগ করেনি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ শামসুল আরিফিন জানান, এভাবে বিদ্যালয়ের টাকা উত্তোলন করতে পারি কি-না। আমার সঠিক জানা নেই। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।