চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হঠাৎ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ট্রাফিক সার্জেন্ট ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক দ্বগ্ধ হয়েছেন। একে আহত হয়েছেন এক পথচারীও। দুই পুলিশ সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, বিস্ফোরণটি রহস্যজনক। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের আলামত পেয়েছে তারা।
বিস্ফোরণের পরপরই ট্রাফিক বক্সসহ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ বক্সের চারদিকের কাচ ভেঙ্গে পড়ে গেছে। তবে অক্ষত রয়েছে টিনের ঘেরাও। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেছেন কাউন্টার টেরিরিজম, সোয়াত ও পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কিভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটলো তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তাদের কেউই।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ভয়ে দিকবিদিক ছুটোছুটি করে। এ সময় সেখানে ছিলেন ট্রাফিক সাজেন্ট আরাফাত, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক আতাউর। বিস্ফোরণে তারা দ্বগ্ধ হন। এছাড়া আহত হয়েছেন এক পথচারীও। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া সমকালকে বলেন, দুই পুলিশ সদস্যকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশি দ্বগ্ধ হয়েছেন সার্জেন্ট আরাফাত। তার মুখমণ্ডল ও হাত পুড়ে গেছে। মুখমণ্ডল দ্বগ্ধ হয়েছে পুলিশ সদস্য আতাউরেরও। তাদের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের উপ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ সমকালকে বলেন, কীভাবে এই বিস্ম্ফোরণ ঘটলো তা এখানো বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রাত পৌনে ১১টায় ঘটনাস্থলে থাকা নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, প্রথমে শর্ট সার্কিট ধারণা করেছিলাম। ঘটনাস্থলে এসে দেখি এটা বিস্ফোরণ। আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অগোচরে কেউ হয়তো বিস্ফোরক রেখে গেছে। ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিম আসছে। তারা এসে এটা কি ধরণের বিস্ফোরক ছিল তা নিশ্চিত করবে। কারা এটি ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।