নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় মাওনা হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে সিএনজি আটকে টাকা আদায় ও চালককে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় সিএনজি চালক ও মালিকেরা। এসময় তারা মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি মঞ্জুরুল হকের প্রত্যাহারের দাবি করেন।
(২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার) সকাল সাড়ে দশটায় মাওনা চৌরাস্তায় এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে তারা, শ্রমিক ও মালিকের বিক্ষোভে প্রায় ঘন্টা খানেক মাওনা-শ্রীপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সিএনজি চালক ও মালিকেরা জানায়, সরকার মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলে গ্যাস রিফিল করা ছাড়া মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে উঠেন না। মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ মহাসড়কের সাথে সংযোগস্থাপনকারী বিভিন্ন মোড় থেকে মহাসড়কে চলাচলের অজুহাতে সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যাটারি চালিত রিক্সা আটক করে। পরে তা ছাড়িয়ে আনতে গেলে দশ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মাওনা হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি, সিএনজি ও অটোরিক্সা আটকে বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে, বুধবার সকালে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে গ্যাস রিফিল করতে গেলে সিএনজি ষ্টেশন থেকে কয়েকটি অটোরিক্সা আটক করে এবং সজল নামের এক চালককে মারধর করে।
সিএনজি চালক আক্তার হোসেন বলেন, তিন মাস আগে হাইওয়ে থানার পুলিশ আমার ৬৯২০নম্বর গাড়িটি গ্যাস রিফিল করে আসার সময় আটক করে। পরে হাজার টাকায় স্ত্রীর কানের দুল বিক্রি ছাড়িয়ে নেন।
শ্রমিকদের আন্দোলনের সময় উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আবুল হাসেমের নেতৃত্বে মাওনা হাইওয়ে থানার পুলিশ শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তিনি ও থানার কোন কর্মকর্তা কোন ধরনের বাণিজ্যের সাথে জড়িত নন। এরপরও যারা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে তারা হয়ত কোন অনৈতিক সুবিধা চেয়েছিল যা তাদের দেয়া হয়নি। তাই তারা এমনটি করেছেন।