পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যা করেছিলেন বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। দীর্ঘ তদন্তের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এমনটাই জানিয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটির প্রধান বনজ কুমার মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনুরকেও প্রচণ্ড ভালোবাসতেন সালমান শাহ। তাকে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে হত্যার যে অভিযোগ করা হয়েছিলো তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পিবিআই বলছে, স্ত্রী সামিরা এবং চিত্রনায়িকা শাবনূর দু’জনকেই প্রচণ্ড ভালোবাসতেন প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ।
এ কারণে শাবনূরকেও বিয়ে করে সংসার করতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু সামিরা তাতে রাজি হননি। এ বক্তব্যটি সালমানের বাসায় রান্নাবান্নার কাজ করা মনোয়ারা বেগমের জবানবন্দি থেকে নেয়া উল্লেখ করে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সতীনের সংসার করতে রাজি ছিলেন না সালমানের স্ত্রী সামিরা।
পিবিআইয়ের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি তার পরিবার। প্রথমে থানা পুলিশ পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।
সেটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সালমান শাহ অপমৃত্যু নাকি হত্যার শিকার তা নিশ্চিত হতে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে। সেটাও প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর র্যা ব এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২১শে আগস্ট তদন্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পায় পিবিআই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।