রংপুর ব্যুরো:
২০ দলের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে হরতাল যোগ হওয়ায় জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে রংপুরে। বুধবার সকালে নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি-জামায়াত এবং ছাত্রশিবির নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
এদিকে বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের সাত এবং বিএনপির ছফ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২০ দলের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার রংপুর থেকে ঢাকাসহ দুরপাল্লা জেলা ও আন্তঃউপজেলা কোন রুটেই যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী কোনো ভারি, মাঝারি যানবাহন চলাচল করেনি। মহেন্দ্রা, অটো রিকশা এবং ট্রেনই ছিল যাতায়াতের মাধ্যম। নগরীতে দোকানপাট খোলা থাকলেও বেচাকেনা হয়েছে একেবারেই কম। অফিস আদালতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও উপস্থিতি ছিল কম।
এদিকে অবরোধের সমর্থনে সকাল সাড়ে ৯ টায় রংপুর মহানগরীর পায়রা চত্বরে বিএনপির বিদ্রোহী অংশ বিক্ষোভ মিছিল করে। জেলা যুবদল সভাপতি রইচ আহমেদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা সভাপতি জহির আলম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুস সালামের নেতৃত্বে মিছিলটি সেন্ট্রাল রোডের ডাকঘর থেকে শুরু হয়ে পায়রা চত্বরে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
অন্যদিকে ছাত্র শিবির সকালে নগরীর মডার্ণ মোড়ে রাস্তায় শুয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এছাড়াও নগরীতে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের জেষ্ঠ্য পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের সাত এবং বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।