গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বর্তমান সরকার যে অবৈধ তা তারা স্বীকার করে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার জাতীয় প্রেস কাবে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি আয়োজিত ‘সারাদেশে গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সরকার স্বীকার করে নিয়েছে তারা অবৈধ। সংলাপ আলোচনা চাইলে আগে সরকারকে বৈধতা দিতে হবে, তারপর আলোচনা, আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্য তা প্রমাণ করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব সময় আলোচনা-সংলাপ চাই। জবরদখলকারী সরকার বলছে, এখন আলোচনা হবে না। তারা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তারা যদি নির্বাচন না দেয় তাহলে জনগণ মাঠে নামবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, গুম, খুন এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে সরকার গুম, খুন করাচ্ছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে র্যাব, পুলিশ। যত গুম, খুন হচ্ছে সবগুলোর তদন্তে বেরিয়ে আসছে র্যাব জড়িত। গত এক বছরে বিরোধী দলের ৩১০ জনকে হত্যা এবং ৩৭ জনকে গুম করা হয়েছে ।
মানুষ কোথাও নিরাপদ নয়- মন্তব্য করে তিনি বলেন, মিরপুরে বিহারী পল্লীতে পুলিশের সামনেই আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। তাহলে সরকার কোথায়? মানুষ কোথায় যাবে?
ফখরুল ইসলাম বলেন, কালবিলম্ব করবেন না। অপহরণ, গুম ও খুন বন্ধ করে সুস্থ মন নিয়ে আলোচনার টেবিলে আসুন। অসুস্থ মন নিয়ে আলোচনায় আসবেন না। আসুন গণতন্ত্র রক্ষায় সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে রক্ষা করি।
তিনি বলেন, সংলাপ, আলোচনা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচন চাই। কারণ, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রকে রক্ষা করা যাবে না। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ মদদে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে গুম ও খুন করছে। অপহরণ, গুম ও খুনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি, ১৯ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করা।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপি ইচ্ছে করে রাজপথের আন্দোলনে যায়নি। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজপথে যেতে বাধ্য হয়েছে।
পদ্মা সেতুর টেন্ডার প্রসঙ্গে মির্জা আলমগীর বলেন, ক্ষমতাসীন দল চীনের সাথে পদ্মা সেতুর চুক্তি করেছে। কারণ, বিশ্ব ব্যাংকের সাথে চুক্তি করলে তারা চুরি করে নিজেদের পকেট ভারী করতে পারবে না।
সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলুর সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামিক পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মবিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সংগঠনের মহাসচিব ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।