গাজীপুর: গাড়ি লক করে গভীর ঘুমে ছিল হেলপার সাজু মিয়া। রাত ১টার দিকে আগুনের তাপে ঘুম ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে লক খোলে কোন মতে বাইরে আসেন তিনি। বেঁচে যান জীবনে। কিন্তু পুঁড়ে গেছে তার একমাত্র অবলম্বন বাসটি। এই বাসের তাপে সঙ্গে থাকা একই মালিকানার আরেকটি বাসও অর্ধেক পুঁড়ে যায়।
মঙ্গলবার মধ্যরাত একটার দিকে গাজীপুর জেলা শহরেরর কেন্দ্রিয় বাস টামিনালে ঘটে ওই ঘটনা।
বুধবার(৭জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাস কংকালের মত দাঁড়িয়ে আছে। বাসের সামনে অসংখ্য লোক দৃশ্য দেখছেন।
আগুনে পুঁড়ে যাওয়া শ্যামলী পরিবহনের বড় বাস ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩৯৩৯ সম্পুন পুঁড়ে গেছে। এই গাড়ির আগুনের তাপে অধেক পুঁড়েছে একই কোম্পানীর একই ধরণের আরেকটি বড় বাস ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬২১৬।
ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩৯৩৯ নং বাসের হেলপার সাজু মিয়া গ্রাম বাংলানিউজকে জানান, রাত ১২টার দিকে তিনি খাওয়া দাওয়া শেষ করে গাড়ি লক করে ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১টার দিকে আগুনের তাপে তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। চিৎকার দিয়ে উঠে তিনি দ্রুত লক খোলে বাইরে বেরিয়ে পড়তে সঙ্গম হন। আর একটু পরে ঘুম ভাঙ্গলে কংকাল হতে হত তাকে।
সাজু মিয়া জানান, তার ডাক চিৎকারে আশপাশের গাড়ির হেলপারদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। সবাই মিলে গাড়িতে রাখা পানি দিয়ে আগুন নেভানো শুরু করেন। সংবাদ পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সাভিস আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এরই ফাঁকে ওই বাস ছাড়াও পাশে থাকা বাস ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬২১৬ এর অধেক পুঁড়ে যায়।
আগুনে পুঁড়া শ্যামলী পরিবহনের দুটি বাসের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে এই সম্পকে জানতে শ্যামলী পরিবহনের গাজীপুরের দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যানেজার মোঃ বাবুল মিয়া জানান, রাতের ঘটনা। কতৃপক্ষ আসছেন। দেখছেন। তার পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিধারণ করা হবে।
এ সম্পকে গাজীপুর ফায়ার সাভিসের উপ-সহকারী পরিচালক(ডিএডি) আক্তারুজ্জামান লিটন জানান, সংবাদ পেয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। দেরি হলে আরো বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারত।