মুজিব বর্ষের মধ্যে দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার মাধ্যমে প্রতিটি ঘরকে আলোকিত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ৬৪টি জেলার মধ্যে প্রায় ৪০টি এখন পুরোপুরি বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। বাকি জেলা ও উপজেলাগুলোকেও (শতভাগ বিদ্যুতের) আওতায় এনে মুজিব বর্ষে প্রতিটি ঘরকে আলোকিত করবো। এ লক্ষে নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাত জেলা ও ২৩ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ফেনীতে ভারি জ্বালানি তেল চালিত ১১৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
একই অনুষ্ঠান থেকে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটর এন্ড ট্রেনিং সেন্টারেরও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসা দেশের সাত জেলার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা, ফেনী, গোপালগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট ও মেহেরপুর।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসা ২৩ উপজেলার মধ্যে রয়েছে- বাগেরহাট সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, মেহেরপুরের আলমডাঙ্গা, কুমিল্লার দেবিদ্বার ও মোহনগঞ্জ, দিনাজপুরের খানসামা, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, যশোরের যশোর সদর ও মনিরামপুর, খুলনায় তেরাখাদা, কুষ্টিয়ার মিরপুর, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও জুরি, নওগাঁর বদলগাছি ও পত্নিতলা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, নীলফামারির জলঢাকা, শেরপুরের নকলা ও ঝিনাইগাতি, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, ঠাকুরগাঁওয়ের রানিশঙ্কইল এবং সুনামগঞ্জের ছাতক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালেয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ নিজ নিজ বিভাগের পক্ষ থেকে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন। সূত্র : ইউএনবি।