রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর: আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবো প্রশ্ন শত বছর বয়সী ছহুরা বেগমের। মেম্বার চেয়ারম্যানের ধারে ধারে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছর ঘুরেও বয়স্কভাতা মিলেনি প্রায় শত বছর বয়সী বিধবা ছহুরা বেগমের ভাগ্যে।
শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিনের স্ত্রী ছহুরা বেগম। ছহুরা বেগম বলেন, এহন মেম্বার চেয়ারম্যানরা তেলের মাথায় তেল দেয়, টাহা না দিতে পারলে বয়স্ক ভাতার কার্ড দেয় না। একখান বয়স্ক ভাতার জন্য স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে অনেকবার গেছি, কিন্তু কোন লাভ হয়নি। শেষমেশ আশা ছাড়ি দিছি। এভাবেই আক্ষেপ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বৃদ্ধা ছহুরা বেগমের পুত্র দিনমজুর জমির আলী।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১ ছেলে, ১ মেয়ে নিয়েই তার সংসার। মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দিনমজুর ছেলে বিয়ে করে আলাদা হয়ে গেছে। পেটের দায়ে এই বৃদ্ধ বয়সেও মাঝে মাঝে ভিক্ষা করতেন। কিন্তু বর্তমানে তিনিও তাও করতে পারছেন না কারণ তিনি এখন সম্পূর্ন শারিরীক ভাবে অসুস্থ। নগরহাওলা গ্রামের মজনু মিয়া বলেন,ছহুরা বেগমকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি। তিনি খুব কষ্ট করে জীবনযাপন করছেন। একটা বয়স্ক ভাতা কার্ড পেলে অসুস্থ মানুষটার খুব উপকার হয়।
এ বিষয়ে গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, এই বৃদ্ধ আমার নজরে আসে নাই। এখন সুযোগ আছে আমার কাছে আসতে বলেন কাগজপত্র দেখে বয়স্ক ভাতার কার্ডের ব্যবস্থা করে দিব ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে ছিলো না। আজ জানলাম খুব দ্রুত এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।