শারমিন সরকার
ব্যুারো চীফ
শ্রীপুর অফিস: গাজীপুরের শ্রীপুরে সরকারী জমি অধিগ্রহণ নক্সার ভিডিওচিত্র ধারণের সময় ভিডিও ক্যামেরাসহ মুঠোফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় তিতাস গ্যাসের দুইজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেবাস্টিন রেমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার(৬ জানুয়ারী) বিকেল ৪টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার সোনাকর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রকল্পের পরিচালক আব্দুস সাত্তার জানান, গাজীপুরে প্রতিদিনি ৪০ লাখ ঘনফুট গ্যাসের সংকট রয়েছে। মূলত এ সংকট সমাধানের জন্য একনেক থেকে প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়ার পর কাজ শুরু হয়। ওই ম্যাপে কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। গ্যাস লাইন সম্প্রসারণের খবর পেয়ে একটি মহল ম্যাপ অনুযায়ী বাড়িঘর নির্মাণ শুরু করেন।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেবাস্টিন রেমা জানান, স্থানীয় বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার লোকজন ভিডিওচিত্র ধারণের সময় ওইসব কর্মকর্তাদের মারধোর এবং তাদের ভিডিও ক্যামেরাসহ মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এসময় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর দুইজন কর্মকর্তা আহত হন। গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ও তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের একটি টীম মঙ্গলবার শ্রীপুরের সোনাকর এলাকায় ভিডিওচিত্র ধারণ করছিল।
অভিযুক্ত বরমী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বেপারী সাংবাদিকদের বলেন, কর্মকর্তাদের ওপর তিনি বা তার লোকজন কোনো হামলা করেননি। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী ছিল শ্রীপুরের ওপর দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হলে আগে শ্রীপুরের অধিবাসীদের গ্যাস সুবিধা দিতে হবে। ভিডিওচিত্র ধারণ করতে দেখে এলাকার জনতা তাদের কাছে এর কারণ জানতে চায়। পরে শ্রীপুরে গ্যাস সুবিধা না দিয়ে অন্যত্র সরবরাহের কথা শুনে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
এলাকাবাসী জানান, এ প্রকল্পের সাথে যারা জড়িত তারা এক শ্রেণীর দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এলাকায় গ্যাস সম্প্রসারণ লাইনে ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু করে।
শ্রীপুর থানার পরিদশক(তদন্ত) আবুল কাশেম পিপিএম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।