অবশেষে পাঁচ দিন পর মিলল শিশু আশামনির লাশ। গত শনিবার রাজধানীর কদমতলীর ডিএনডি খালে নিখোঁজ হয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুটি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তার লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার দিন বিকেলে বল কুড়াতে গিয়ে কদমতলীর মেরাজনগরের ডিএনডি খালে তলিয়ে যায় আশামনি। দুর্ঘনাস্থলের এক কিলোমিটার দূর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে আশামনির সন্ধান না মেলায় ফায়ার সার্ভিসের কাজে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। ঘটনাস্থলের পাশে ইউসুফ মেমোরিয়াল স্কুলের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে আশামনির লাশ উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করা হয়।
মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে।
অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে আজ একটি ময়লার স্তরের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটির লাশ।
এরশাদ ও তানিয়া দম্পতির বড় মেয়ে আশামনি। বাসা মিরাজনগরের পাশের মোহাম্মদনগর কালভার্ট এলাকায়। ঘটনাস্থলের পাশেই এরশাদের একটি কনফেকশনারি রয়েছে। এ বছরই মিরাজনগর ফারহা মডেল স্কুলের শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল আশামনি। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায়।
শনিবার মেরাজনগর ডি-ব্লক বাসাসংলগ্ন খালি জায়গায় বন্ধু ফরাজ (৬), আব্দুল্যাহ (৫), রাহিম (৫) এর সাথে ক্রিকেট খেলছিল আশামনি। এ সময় পাশে ডিএনডির খালে বল পড়ে যায়। আশামনি বলটি উঠাতে গিয়ে খালের পানিতে ডুবে যায়। এসময় সাহায্যের জন্য চিৎকার করে সে। এ সময় শিশু ফরাজ আশামনিকে উদ্ধার করতে হাত বাড়িয়ে দেয়। তখন পা পিছলে যায় ফরাজের। এরই মধ্যে আশামনি ডুবে যায় ও স্রোতে অন্যত্রে চলে যায়। পরে শিশু আব্দুল্যাহ তার মায়ের কাছে গিয়ে এ ঘটনা জানায়। তার মা ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পরে স্থানীয় লোকজন খালে নেমেও আশামনির সন্ধান পায়নি।