বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির এক সংবাদকর্মীকে মারধর ও ক্যামেরা ভাংচুরের মামলায় জামিন পেয়েছেন ক্যাসিনোকা-ের অন্যতম হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক এনু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন ভূঁইয়া। সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মিল্লাত হোসেন তাদের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত জামিন দেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী রাজীব জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি মামলা থাকায় আপাতত তারা মুক্তি পাচ্ছেন না।
কোতয়ালী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার মহানগর আদালত প্রাঙ্গণে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির ক্যামেরাপারসন আলামিনকে পেটানোর মামলায় ৫০০ টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তিনি আরো বলেন, আজ তাদের সাতদিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া মামলার বাদী ডিবিসি টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার লিটন মাহমুদ আদালতে হলফনামা দিয়ে বলেন, আসামিরা জামিন পেলে তার কোনো আপত্তি নেই। এরপর আদালত শুনানি শেষে বাদীর জিম্মায় আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে ডিবিসির আদালত প্রতিবেদক ও মামলার বাদী নাসির উদ্দিন ওরফে লিটন মাহমুদ বলেন, আমাদের টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়ায় আমরা আদালতে একটি হলফনামা দিয়ে বলেছি যে জামিনে গেলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
গত ১৯শে জানুয়ারি রুপন-এনুকে দুদকের এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আনা হয়।
সে সময় তাদের ৪০/৫০ জন কর্মী-সমর্থক আদালত চত্বরে উপস্থিত হন। বেলা পৌনে একটার দিকে দুইজনকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতের দোতলায় উঠানোর সময় ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন আল আমিন ভিডিও ধারণ করছিলেন। ওই সময় রুপন-এনুর ৮/১০ জন সমর্থক তার উপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং আল আমিনের ক্যামেরাও ভেঙে ফেলা হয়। আল আমিনের দাবি, তার পকেটে থাকা ২০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। ওই সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে আব্দুল মতিন নামের একজন ধরা পড়ে। হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি একটি মামলা করা হয়।