ঢাকা: রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের সঙ্গে দিনভর পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ পর্যন্ত চার জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাড়ি-ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। নাটোরের তেবাড়িয়ায় গুলিতে দুই জন বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের গুলিতে এক বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেছেন, সরকার দলীয় ক্যাডারদের গুলিতেই তাদের চার কর্মী নিহত হয়েছেন। রাজশাহীতেও বিএনপির একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বিক্ষিপ্ত মিছিল করেছেন সরকার বিরোধীরা। অন্যদিকে, ব্যাপক শোডাউন করেছেন সরকার সমর্থকরা। চট্টগ্রামে পুলিশের গুলিতে পণ্ড হয়ে গেছে বিএনপির সমাবেশ। সংঘর্ষ হয়েছে সিলেটেও। সেখানে বিএনপি বিক্ষোভ ও কালো পতাকা মিছিল করেছে। শিবিরের মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। কক্সবাজার শহরের বার্মিজ মার্কেটের এলাকায় ইসলামী ছাত্র শিবির ঝটিকা মিছিল বের করার পর পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বার্মিজ মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে কক্সবাজারে জেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াত-বিএনপির ৬২ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ভোলায় বিএনপি’র বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার দিকে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও ৪৩টি শট গানের গুলি ছোড়ে। অপরদিকে শহরের বাংলা স্কুল মোড়ে সকালে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে মিছিলকারীরা। এ সময় কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করা হয়। নারায়ণগঞ্জের তিনটি স্থানে বিএনপি-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক ক্যামেরা পার্সনসহ আহত হন অন্তত ৩৫ জন। এছাড়া, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বেশিরভাগ জেলাতেই সংঘর্ষ হয়েছে।