স্টাফ রিপোর্টার | পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে অবরোধ চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, আজ সারা দেশে যেভাবে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত একই ধরনের কর্মসূচি চলবে। বিকালে গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার চেষ্টার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। তারাও সমাবেশ করতে পারতো। সমাবেশ করতে না দেয়ার কারণ কি? গতবার এই দিনে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। এই নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়নি। যারা ক্ষমতায় তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। মানবাধিকার, আইনের শাসন নেই। আমার এখানে কাউকে আসতে দেয়া হচ্ছে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরীকেও আসতে দেয়া হয়নি। আরও অনেকে আসতে চাইছেন। কিন্তু পারছেন না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাকে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। তারা বলছে আমাকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এটি কিসের নিরাপত্তা। এতোদিন নিরাপত্তা দেননি। কর্মসূচি আসলেই নিরাপত্তা। এভাবে চলতে পারে না। আমি জনগণের কাছে নিরাপদ। আওয়ামী লীগই আমার নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, গোটা দেশ অবরুদ্ধ। জালিম সরকার দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। খালেদা জিয়া যখন কথা বলছিলেন তখন পুলিশ বাইরে থেকে ভেতরে পিপার স্প্রে করে। এতে খালেদা জিয়া সহ অন্য নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের অস্বস্থিকর অবস্থায় পড়তে হয়। এক পর্যায়ে খালেদা জিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, এখানে কি ঘটেছে যে এখানে পিপার স্প্রে দিতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, সারা দেশে জনগণ রাস্তায় নামতে চেয়েছে। সরকার দলীয় গুন্ডারা পুলিশ নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করেছে। দেশ বসবাসের অনুপযোগী করেছে সরকার। দেখলে মনে হয় দেশে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে। সারা দেশে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পরিবর্তন চায়।
আজকের পরিস্থিতি থেকে মনে হচ্ছে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। তাদের সঙ্গে নেই। এজন্য তারা ভোট দিতে ভয় পায়। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। বিশেষ জেলা এবং ছাত্রলীগের লোক যারা পুলিশে আছে তারা এই বাহিনীর ইমেজ নষ্ট করেছে। তাদের উদ্দেশে বলব বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। পুলিশের কাজ নয় এমন কাজ ও পুলিশকে দিয়ে করানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।