আমার নিউক্লিয়ার ও জীবাণু তত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা নেই।তবে পৃথিবীর বাসিন্দা হিসেবে অন্য দশ জনের মতো,আবেগ আছে,কিছু বলতে মন চায়– কারো তাচ্ছিল্য চিন্তা’তে এক কথায় “অল্পবিদ্যা ভয়ংকর” “ও” পুলিশ!বাহ্ নীতিশাস্ত্রের জনক বটেও! কি জানে?এ জাতীয় কথাগুলো আর কি!সবাই বলুক,তবু ও বলবো—- “একবিংশ” শতাব্দী’তে পারমাণবিক ও জীবাণু অস্ত্রভান্ডার সমৃদ্ধ করার পরে বিশ্বের সুপার পাওয়ার দেশগুলো তাঁদের একাধিক স্বার্থের কারনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে মিত্র দেশগুলো’কে কাছে টানছে।আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে কোন দেশ-ই এখন পারমাণবিক ও জীবাণু প্রযুক্তিতে পিছিয়ে পড়তে নারাজ।শুধু মর্যাদা লাভের আশায়, মর্যাদা ধরে রাখার জন্যে মানব ক্লোনের যাচ্ছে তাই অমানবীয় ব্যবহার হতে শুরু করে, মারাত্মক এমন জৈব অস্ত্র প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে মজুদ করে কৃত্রিম তৃপ্তি’র ঢেকুর তুলে -“মনে মনে “একান্তে অন্য দেশে প্রয়োগের চিন্তাতে নিমগ্ন!! হয়তো তাঁদের গবেষক বিজ্ঞানী ও জানেনা,এ -মানবসৃষ্ট দুর্নমিত জীবাণু ভাইরাস কতো ভয়ংকর হতে পারে?আজ “করোনা” ভাইরাস শুধু চীন নয়,সমগ্র বিশ্ববাসীর আতংকের নাম।
এ ভাইরাসের কারনে “চীন” বিশ্বের কাছে এক বিচ্ছিন্ন আতংকের দেশ!এরি মধ্যে যে যার মতো, আক্রান্ত চীনের “করোনা” ভাইরাসের উৎপত্তি ও প্রয়োগের ভয়াবহ পরিস্হিতি সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী মতামত দিয়ে যাচ্ছেন।
কেউ বলেন,বাদুরের স্যুপ,বিষাক্ত সাপের কারনে,অন্যরা বলেন,ভিন্ন কথা– চীন জৈবিক অস্ত্র বানাতে’গিয়ে অসতর্কতা’র কারনে ভাইরাস সংক্রমন ঘটেছে।ইতিহাসের একটু পিছনের স্মৃতিরোমন্থন করলে ভেসে উঠে,মানবসৃষ্ট বা প্রকৃতির হেয়াল বশে ধ্বংস,হারিয়ে গেছে,বা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে—-
পৃথিবীর সমৃদ্ধ তাবড় তাবড় সভ্যতা!
আজ চীনের মতো,সুপার পাওয়ার দেশ, এ “করোনা” ভাইরাস নিয়ে হিমশীতল ভয়ে, হাজারো অপবাদ সহ্য করে প্রতিরোধে সর্বাত্নক চেষ্টা করে চলেছেন।
বিশ্ববাসীর এখন দরকার,এ মারাত্মক প্রাণঘাতি ভাইরাস সহ বিভিন্ন সময়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস/জীবাণু’র বিরুদ্ধে বিজ্ঞানী’দের প্রতিরোধ /নির্মুলে একসাথে কাজ করা।কারন চীনের এ পরিস্হিতিতে শুধু চীন নয়,এশিয়া সহ পৃথিবীটা মহাঝুঁকির মধ্যে নিমজ্জিত হতে বেশি সময় লাগবেনা! যদি না প্রতিরোধ ভ্যাকসিন ঔষধ তৈরী না হয়।
নশ্বর পৃথিবী!কারো পেটে একবেলা খাবার জোটেনা।কারো খাবার ফেলে দিতে হয়।একমুঠো খাবারের জন্যে মান,সন্মান, সম্ভ্রম হারিয়ে ভয়ানক দাসত্ব সৃংখল পড়ে আজ সৃষ্টি’র সেরা জীব মানব, শুধু সরবে-নীরবে হাজারো অভিযোগ জানিয়ে “মরিতে চাহিনা সুন্দর ভুবনে”মানবে’র মাঝে–বাঁচার আকুতি জানালে ও বাঁচেনা।এ ভুখা মানুষের অধিকার ও মর্যাদা কেড়ে তাদের টাকায় সুরক্ষিত গোপন ঘরে বসে তাদে’র মারার জন্যে বিভিন্ন দেশ জীবাণু অস্ত্র বানিয়ে যাচ্ছে।
মহামারি করোনা ভাইরাস এখন চীন নয়,সব দেশের জন্যে প্রকৃতির অভিশাপ! মানবজাতি ধ্বংশের অশনি সংকেত!আগামী প্রজন্মান্তর রক্ষার আন্দোলনে বিশ্বে’র সৃষ্টি’র সেরা জীবের সম্মিলিত শপথ হোক—
“মানবীয় গবেষণা চাই” দানবীয় গবেষণা নিপাত যাক”–
রাজীব কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক, লেখক ও কবি।