হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: সিলেটের প্রবাসী অধ্যঘোষিত বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউপির দুই কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তাটি এতই সরু যে তাতে চলাচল করা কষ্টসাধ্য। তার উপর রাস্তাটি কাচাঁ ও রাস্তাজুড়ে রয়েছে অসংখ্য গর্ত। বৃষ্টি নামলেই তা চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাছাড়া বর্ষার মৌসুমে রাস্তার ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুই কিলোমিটারের এ রাস্তাটি নামনগর থেকে হাজী মফুর আলী ব্রিজ হয়ে ঘুঙ্গাদিয়া ফুলবাড়ি পর্যন্ত এসে বড় রাস্তার সাথে এসে মিশেছে। দুই এলাকার যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক উন্নয়য়ের ছোয়া থেকে বঞ্চিত। ফলে গ্রামের স্থানীয় মুরব্বী ও যুবাদের প্রচেষ্ঠায় প্রবাসীদের অর্থায়নে সংস্কার হচ্ছে রাস্তাটির। সড়কটির কাজ সম্পন্ন হলে দুর্ভোগ লাগব হবে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, এ রাস্তার পুরোটাই কাঁচা। বর্ষা মৌসুমে এই রাস্তা স্থানে স্থানে ভেঙ্গে যায়। অনেক স্থানে রাস্তার অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ কাঁচা রাস্তা থাকায় প্রতি বন্যায় এ রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হলেও রাস্তাটি সংস্কারে সরকারি কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। গ্রামের প্রবাসীদের অর্থায়নে ও স্থানীয় এলাকার মুরব্বী ও যুবাদের প্রচেষ্ঠায় এক সপ্তাহ ধরে রাস্তার মাটি ভরাট কাজ করা হচ্ছে। শ্রমিকদের পাশাপাশি কিছু গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন। রাস্তার বেহাল দেশার কারণে ঘুঙ্গাদিয়া, নামনগর, বৈরাগীবাজারসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের চার-পাঁচ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ওই রাস্তার দুরবস্থায় বর্ষায় স্থানীয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কৃষকদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তাই রাস্তাটি স্থানীভাবে সরকারী উদ্যোগে মাটি ভরাট করে পাকাকরনসহ রাস্তার পাশে বেড়া তৈরিসহ ইট সলিংয়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।