হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যাপ্ত ডাক্টার থাকলেও বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সেগুলোর টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে এক্স-রে মেশিনের ২ বছর থেকে টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না লালমনিরহাট ২ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির নিজের উপজেলার মানুষ।
অযত্নে অবহেলায় দিন দিন বিকল হয়ে যাচ্ছে সরকারের মূল্যবান এই সম্পদটি।
২০০৫ সালে হাসপাতালে এক্স-রে মেশিনটি সংযুক্ত হলে একজন টেকনেশিয়ান নিয়োগ করা হলেও তাকে রাজশাহী মেডিকেলে সংযুক্তি করা হয় ফলে কাগজে টেকনিশিয়ান থাকলেও পদটি ফাকা ছিল তখন থেকে। দু বছর আগে টেকনেশিয়ানের বদলি হলে কাগজে পদটি শূণ্য হয়ে যায়।
রবিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, এক্সরে করতে না পেরে রোগীরা স্থানীয় ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে ভোগান্তির সঙ্গে সঙ্গে খরচ হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোজাম্মেল হক জানান, তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তাকে এক্স-রে করাতে হবে কিন্তু মেডিকেলে এক্স-রে অসম্ভ নয় তাই বাইরে থেকে করাতে হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আব্দুল কাদের গণী বলেন, এক্স-রে মেশিনের টেকনেশিয়ান না থাকার কারনে রোগীদের দীর্ঘদিন থেকে এক্স-রে করানো সম্ভব হচ্ছেনা।
আমরা বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে লিখিত চাহিদা পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।