গোপী নন্দীর বসতঘর ও দোকানপাট দখল ঝুলছে নতুন সাইনবোর্ড !

Slider গ্রাম বাংলা


রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: স্বর্গীয় গোপী নন্দী ও মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের পাঁচ যুগের বেশি সময় ধরে দখলে থাকা বসতবাড়ি, দোকানপাট দখলের অভিযোগ উঠেছে বরমী ইউনিয়ন কো অপারেটিভ সার্ভিস সোসাইটি লিমিটেড এর বিরুদ্ধে। জানা যায় ১৯৫৯ সাল থেকে স্বর্গীয় গোপী নন্দী ও মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম উপজেলার বরর্মী ইউনিয়নের বরমী বাজারে ১১ শতাংশ জমি মধ্যে দোকানপাট ও বসতবাড়ি করে বসবাস করে আসছে। কিন্তু কিছু অসৎ লোক হঠাৎ করে তার বসতবাড়ি আর দোকান তালাবদ্ধ করে নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়ে তার মেয়ে মনি নন্দীকে বেড় করে দেয়।
স্বর্গীয় গোপী নন্দী শ্রীপুর উপজেলার বরর্মী ইউনিয়নের স্বর্গীয় গোপাল চন্দ্রের ছেলে।

গোপী নন্দির মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা মনি নন্দী জানান, দীর্ঘ সময় থেকে আমার বাবার প্রত্যেক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি হঠাৎ করে একটি মহল দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরোও জানান, আমি বদলি হয়ে ঢাকা আসার পর একটি মহল আমার জায়গা দখল করে দোকানের সকল মালামাল লুটে নিয়ে বাহির দিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়। আর এটা তারা অনেকদিন থেকেই করে আসছে। অনেক অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে জমির চিন্তায় সর্বশেষ আমার বাবা মারা যান। তিনি আরো জানান এই জমি উদ্ধারের জন্য সকল মহলের সহযোগিতা আশা করছি।

সরজমিনে জানা যায় ১৯৭১ সালের আরেক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম তার বাবার দোকানেও একই ধরনের আরেকটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় একটি মহল। মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, পাঁচ যুগের বেশি সময় ধরে আমার বাবার দোকানে সামনে রাতের আঁধারে একটি সমিতির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। তাতে করে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রীতিমতো অবাক হয়েছি। আর আপনারা লক্ষ করবেন গত এক সপ্তাহ আগে তাদের সমিতির সাইনবোর্ডের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ছিলো (৫)। আর এক সপ্তাহ পর তাদের সমিতির রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার হয়ে গেলো (২৩)। যা দুটি রেজিষ্ট্রেশন একটিও কোন বৃত্তি নেই। তারা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বসতবাড়ি দোকানপাট দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। আমি একজন মুক্তিযুদ্ধা হিসে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরোও বলেন এজন্যই কি আমরা এদেশ স্বাধীন করেছিলাম।

বরমী ইউনিয়ন কো অপারেটিভ সার্ভিস সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, আমাদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার (২৩) এর সমবায় সমিতির জমি ১১ শতাংশ এটি দীর্ঘ সময় থেকে বরর্মী ইউনিয়নের স্বর্গীয় গোপী নন্দী ও মুক্তিযুদ্ধা সিরাজুল ইসলামের বাবার কাছে সমিতির পক্ষ থেকে ভাড়া দিয়েছিলাম।
কিন্তু বর্তমানে তারা এই জমিকে নিজের জমি বলে বিভিন্ন মহলে জাহির করছে। যার কারণে আমরা সমিতির জমিতে সাইনবোর্ড দিয়েছি।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফীন বলেন, সংখ্যালঘু ও মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এরকম হয়ে থাকে, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *