সেই মালিকের কাছে হারলো বাংলাদেশ

Slider খেলা জাতীয়

ডেস্ক:বঙ্গবন্ধু বিপিএল-এ রাজশাহী র‌য়্যালসের হয়ে শিরোপা জেতেন শোয়েব মালিক। শুক্রবার লাহোরে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তার কাছেই হারলো বাংলাদেশ। মালিকের অপরাজিত ফিফটিতে বাংলাদেশের দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্য ১৯.৩ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় পাকিস্তান।

রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে (০) তুলে নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। তার বল বাবরের ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসে। রিভিউ নেন অধিনায়ক বাবর। তবে শেষরক্ষা হয়নি। দলীয় ৩৫ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে বল আকাশে তুলে দেন মোহাম্মদ হাফিজ (১৭)।
শর্ট এক্সট্রা কাভারে তার সহজ ক্যাচ লুফেন আমিনুল ইসলাম। শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি গড়ে পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অভিষিক্ত আহসান আলী (৩৬)। দলীয় ৮১ রানে তাকে নাজমুল হোসেন শান্ত’র ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

ইফতিখার আহমেদের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন শোয়েব মালিক। দলীয় ১১৭ রানে ইফতিখারকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান শফিউল। জয়ের জন্য ৩ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। মোস্তাফিজের করা ১৮তম ওভারে ১০ রান নিয়ে সমীকরণটা আরো সহজ করে ফেলেন মালিক-ইমাদ ওয়াসিম। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ইমাদকে (৬) বোল্ড করেন আল আমিন। ওই ওভারে ৪ রান দেন আল আমিন। ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। সৌম্য সরকারের প্রথম বলেই ২ রান নেন মালিক। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচ ছাড়েন মিঠুন। ২ রান নিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন রিজওয়ান। ৪৫ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মালিক।

আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৫ উইকেটে ১৪১ রান। ৭১ রানের ওপেনিং জুটির পরও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি টাইগাররা। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে ওপেনার নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে একটি করে উইকেট নেন শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দুই ওপেনারের ব্যাটে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ও নাঈম শেখের ব্যাটে ৭১ রানের ওপেনিং জুটি পায় টাইগাররা। যদিও তাদের ব্যাটিং ঠিক টি-টোয়েন্টি সুলভ ছিল না। তামিমের বিদায়ে ভাঙে এ জুটি। ৩৪ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি। দলীয় ৯৮ রানে লিটস দাসও (১২) রান আউট হয়ে ফেরেন সাজঘরে। পরের বলে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে আউট হন শাদাব খান। ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কা নাঈম করেন ৪৩ রান।

নাঈম যখন বিদায় নেন, ইনিংসের বাকি ৩২ বল। এই ৩২ বল থেকে ৪৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। বিপিএলে দারুণ ব্যাটিং করা আফিফ হোসেন ধ্রুব হতাশ করেন। ১০ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। তাকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পান অভিষিক্ত পেসার হারিস রউফ। ছয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ বলে ৭ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ১৪ বলে ১৯ রানের হার না মানা ইনিংসে ১৪১ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *