কলকাতা: কেরালা ও পাঞ্জাব বিধানসভার পর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে প্রস্তাব আনা হচ্ছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতেও সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সিপিআইএম ও কংগ্রেস সম্মিলিতভাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনার চেষ্টা করেছিল। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি করলেও এখন তিনি প্রস্তাব আনার পক্ষেই মত দিয়েছেন। বাম ও কংগ্রেস ‘নীতিগতভাবে’ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও তারা প্রশ্ন তুলেছে, এই উদ্যোগে এত দেরি কেন? পাশাপাশি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে প্রস্তাব দিয়েছেন, কেরালার মতো বাংলার সরকারও সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করুক।
মমতা সোমবার শিলিগুঁড়ি যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় আমরা দু’-এক দিনের মধ্যেই প্রস্তাব গ্রহণ করব। বিধানসভা সূত্রের খবর, আগামী ২৭ জানুয়ারি বিধানসভায় ওই প্রস্তাব আসতে পারে।
মমতা আরও জানিয়েছেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে সকলের আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাই প্রস্তাব পাস করেছে। এদিকে এনপিআর নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার বক্তব্য, এনপিআর-এ বাবা-মায়ের জন্ম বৃত্তান্তের নথি দেয়া বাধ্যতামূলক নয় বলে কেন্দ্র যা বলছে, লিখিত আবেদনপত্রের সঙ্গে তা মিলছে না। তাই তিনি দাবি জানিয়েছেন, আবেদনপত্রের এ সংক্রান্ত অংশ প্রত্যাহার করতে হবে। এনপিআর নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে আরও একবার সমর্থন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অনেক রাজ্যই অনেক কথা বলল। আবার বৈঠকেও চলে গেল। আমি একা গেলাম না। তবু তো একজন প্রতিবাদ করেছে। যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে। তার ঘোষণা, মানুষের বিরুদ্ধে কোনও কাজ আমি করতে দেব না। এই প্রসঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে মমতা বলেছেন, আমি শুধু ভোটের সময় আসি না। আমি সারা বছর আপনাদের পাহারাদার।