মোঃ জাকারিয়া: ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্মনিবন্ধন সনদ(বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক(১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।
======== ই-পাসপোর্টের ফি ========
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা, জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।
এছাড়া বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা, জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা, জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা।
নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে অতীব জরুরিতে ৩ দিনে, জরুরিতে ৭ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে পুরনো অথবা মেয়দোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে, জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনের মধ্যে দেওয়া হবে।
এছাড়া, বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার। ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার এবং ১০ বছর মেয়াদি সাধারণ ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার ও জরুরি ফি ২২৫ মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।
আবেদন দাখিলের নিয়মাবলি
অনলাইন আবেদনের সময় সতর্কতার সাথে ফরম পূরণের প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করুন এবং প্রেরণ বাটনে ক্লিক করার পূর্বে ভালো করে যাচাই করে নিন। অসতর্কতার জন্য কোন ভুল অথবা অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। একটি ধাপে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করুন। পরবর্তী ধাপে প্রবেশের সাথে সাথে পূর্ববর্তী ধাপের পূরণকৃত তথ্যসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিস্টেমে সংরক্ষিত হয়ে যাবে।
১। আবেদন ফরমের লাল তারকা চিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করুন। অন্যান্য ঘরগুলো পুরণ ঐচ্ছিক।
২। আবেদনের সময় যদি পেমেন্ট/ অর্থ পরিশোধের বিষয় থাকে তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং বা ই-চালানের মাধ্যমে পরিশোধ করুন।
৩। আবেদন ফরমে ছবি (প্রযোজ্য হলে) ও স্বাক্ষর আপলোড করুন এবং যে সব কাগজপত্র আবেদনের সাথে দাখিল করা প্রয়োজন (সাইজ নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে ) সেগুলো “সংযুক্ত” অপশনে ক্লিক করে আপলোড করুন।
৪। “অফিস বাছাই করুন” অপশন হতে আবেদনটি যে অফিসে পাঠাতে চান সেই অফিস নির্বাচন করুন।
৫। এরপর ‘প্রেরণ’ বাটনে ক্লিক করুন। “আপনার আবেদনটি সফলভাবে প্রেরণ করা হয়েছে” মর্মে একটি বার্তা আসবে।
৬। আবেদন প্রেরণের পর আপনি একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র পাবেন। এটি সংরক্ষণ করুন। পরবর্তীতে “আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা” বাটনে ক্লিক করে এই নম্বরটি দিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে পারবেন।
৭। আপনি আবেদন প্রেরণ না করা পর্যন্ত আপনার সিস্টেমে তা খসড়া হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। পরবর্তীতে তা আপনি প্রেরণ করতে পারবেন।