রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: গাজীপুরে শ্রীপুর পৌর শহরের ব্যস্ততম এলাকা মাওনা ঢাকা ময়মনসিংহ মহা-সড়ক থেকে শ্রীপুর উপজেলা শহরের সংযোক সড়কের প্রবেশ মুখে বারো মাসই জলাবদ্ধতা থাকে।
জানাযায় মাওনা চৌরাস্তার ব্যস্ততম এলাকার বাসাবাড়ি, হোটেলসহ সকল বিপণী বিতানের বেশির ভাগ টয়লেটের নোংরা পানির লাইন মহাসড়কে ছেড়ে দেয়ার কারণে বছরের প্রায় বেশিরভাগ সময় জলাবদ্ধতা থাকে মাওনা চৌরাস্তা।
ময়লা পানির কারণে ব্যস্ততম এই সড়কে চলাচল এখন চরমে।
স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
এই এলাকায় গার্মেন্টস কারখানা, বিপণী বিতান, কলকারখানা এবং বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায়, এখানে রয়েছে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এই ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা, মশার উপদ্রব আর ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধ নিয়ে বসবাস করছেন এলাকাবাসী।
বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে পুরো এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি। বাসা বাড়িতে ওঠে ময়লা পানি। বৃষ্টির পানির সঙ্গে টয়লেট, ডাস্টবিনের ও ড্রেনের ময়লা মিশে একাকার হয়ে যায়।
পৌর শহরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় জলবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে বিপাকে পরে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, অফিসগামী মানুষ। বিশেষ করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। অভ্যন্তরীন এলাকায় রাস্তা সরু ও অপ্রশস্ত থাকায় এই ময়লা পানিতে হেঁটে চলাচল করতে হয় সব সময়।
পৌরসভার নিয়ম না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণের ফলে পানির সাথে আসে ময়লা। আসে দুর্গন্ধযুক্ত পানি।
মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী সাইফুল আলম বলেন, এই এলাকার প্রধান সমস্যা জলবদ্ধতা। বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জলবদ্ধতা লেগে থাকে। এতে ব্যবসার সমস্যা সৃষ্টি হয়। আশে পাশের মানুষের বাসা বাড়ির পানির লাইন সড়কে ছেড়ে দেয়ার কারণে ময়লা পানি দিয়ে চলাচল করতে হয় সব সম।
এখানে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশুরা নোংরা পানিতে কষ্ট করে স্কুলে যায়।
শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, সর্বসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে, জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।