কক্সবাজার: মাত্র ৪ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পিতা-মাতা। এমন হ্নদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায়। মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে গেছে একটি সাজানো সংসার। এলোমেলো হয়ে গেছে সবকিছু।
শুক্রবার জাহিদ হোসেন শাকিল ও স্ত্রী নিগার সোলতানার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যাচ্ছিলেন সাতকানিয়ার খাগরিয়ার। তাদের সঙ্গে ছিলেন ৪ বছর বয়সী সন্তান মোজাব্বির হোসেন জাহিন। কিন্তু পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ প্রদীপ নিভে যায় জাহিদ ও নিগার সোলতানার। পিতা-মাতা হারানোর এ খবর জানে না ছোট্ট শিশু জাহিন। তাকে জানতে দেয়া হয়নি।
দুর্ঘটনায় বাবার কোলে থাকায় তার তেমন চোট লাগেনি। চিকিৎসকদের পরামর্শে জাহিনকে পরিবারের অন্য সদস্যের সঙ্গে স্বাভাবিক রাখার জন্যই বাবা-মার মৃত্যুর কথা তাকে জানানো হয়নি।
নিহত জাহিদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টুর ভাগ্নে। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিলে।
জাহিদ দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও কয়েক বছর আগে দেশে এসে পরিবহন ব্যবসা শুরু করেন। পরিবার নিয়ে তিনি কাতালগঞ্জ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। জাহিদের স্ত্রী নিগার সুলতানার বাবার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া এলাকায়। নিগার পেশায় একজন স্কুল শিক্ষিকা।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় সন্ধ্যায় প্যারেড মাঠে জাহিদ-নিগারের প্রথমদফা জানাজা হয়। তাদের লাশ চকরিয়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে এক হ্নদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এলাকায় কান্নাররোল পড়ে যায়। সবাই বাবা মা হারা শিশু সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কৈয়ারবিল জামেউল উলুম মাদরাসা মাঠে দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। জানাজার নামাজে শোকাহত মানুষের ঢল নামে।