গাজীপুর: মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আরো দুটি বাসে আগুন দিয়েছে
দুর্বৃত্তরা। পৃথক ঘটনায় গাজীপুর শহরে গাড়ি ভাংচূরের সময় অভিনেতা এনামুল
হক তার গাড়ি চালক সহ আহত হয়েছেন।
রোববার (৪জানুয়ারী) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে চান্দনা চৌরাস্তা
এলাকায় দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, রাত ৯টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ডে
সম্রাট পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপ কয়েক মিনিট পর
চান্দনা চৌরাস্তায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের সামনে
ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে যাতায়াতকারী একটি বড় বাসে অগ্নিসংযোগ করে তারা। দুটি
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে বাস দুটির অধিকাংশ অংশ পুঁড়ে
গেছে। খবর পেয়ে গাজীপুর ফায়ার সাভিস আগুন নিয়ন্ত্রন করে।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, এর আগে গাজীপুর শহরের রাজবাড়ি রোডে সিনা
হাসপাতালের সামনে চোরাগুপ্তা হামলার মাধ্যমে কয়েকটি গাড়ি ভাংচূরের ঘটনা
ঘটে। এর মধ্যে একটি গাড়িতে বসা ছিলেন বিশিষ্ঠ অভিনেতা ড. এনামুল হক।
দুর্বৃত্তদের হামলায় গাড়ির কাঁচ ভেঙ্গে শরীরে লেগে আহত হন এনামুল হক ও তা
গাড়ির চালক। তাৎক্ষনিকভাবে আহত দুই জনকে স্থানীয়রা নিকটবর্তি জোরপুকুর
পাড়ে শাপলা জেনারেল স্টোর নামে একটি দোকানে নিয়ে যান। ওই দোকানে বসিয়ে
ক্ষতস্থানে বরফ দেয়া হয়। এরপর দোকানে বসা অবস্থায় পাশবর্তি জরুরী ঔষধালয়
নামে একটি ঔষুধ বিক্রির দোকান থেকে লোক এনে বেন্ডেজ করেন অভিনেতা এনাম ও
তার গাড়ি চালক। অতঃপর তারা পূবাইলের দিকে চলে যান।
বেন্ডেজকারী জরুরী ঔষুধালয়ের মালিক মোঃ আনিছুর রহমান জানান,
এনাম সাহেব কালিয়াকৈরের মৌচাক থেকে শুটিং শেষ করে একটি সাদা হাইয়েস
মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-ট-০২-০৭৭৮) যোগে তিনি গাজীপুরের পূবাইলে আরেকটি
শুটিং করতে যেতে ছিলেন। কিন্তু গাজীপুর শহরে রাস্তা ভুল করে জোরপুকুর
রোডে প্রবেশ করার সময় সিনা হাসপাতালের সামনে হামলার শিকার হন।
শাপলা জেনারেল স্টোরের মালিক মোঃ নীরব মিয়া জানান, এনাম
সাহেব গাড়িতে উঠার সময় হাতের বেন্ডেজ খোলে ফেলেছেন। তবে চালক ব্যান্ডেজ
নিয়েই গাড়ি চালিয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত: গাজীপুরে এই নিয়ে ৪ঘন্টার ব্যবধানে ৫টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এরপূর্বে রোববার (৪জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টার থেকে ৫টার মধ্যে শহরের
শিববাড়িতে ১টি ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ১টি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা
ঘটে। একই সময় চান্দনা চেওরাস্তায় একটি লেগুনায়ও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এসময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচূরের ঘটনা ঘটে। তবে কোন ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে
বলে জানা যায় নি।
গাজীপুর ফায়ার সাভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন সংবাদের
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।