ঢাকা: ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট চুরি করে ছাড় পেলেও এবার তা হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহামান মান্না। তিনি বলেন, ফখরুল ভাইয়ের সাথে কর্মী হিসেবে কাজ করতে রাজি আছি। কিন্তু পুতুপুতু করে কোনো রাজনীতি হবে না। ২০১৮ সালের ভোট চুরি করেছে, ডাকাতি করেছে, ছেড়ে দিয়েছি। এবার কিন্তু ছাড়বো না।
শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘নির্বাচনে আস্থাহীনতা, ইভিএম’র ব্যবহার: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
মান্না বলেন, আগামী ৩০ তারিখের ভোট কোনো ভোট নয়। ওই তারিখে ধানের শীষ জিততে পারবেনা। ওরা জিততে দিবে না। যদি ভোট হতো তাহলে নৌকারই খবর থাকতো না। সেই জন্যই সমস্ত বুদ্ধি-শুদ্ধি করেছেন তারা।
ইভিএম প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ইভিএম যে একটা গজব এটা আমরা সবাই বুঝি। মানুষ যা তৈরি করে তার নিজের জন্য তৈরি করে। নির্বাচন কমিশনকে পেছন থেকে কেউ ইভিএম আমদানি করিয়েছে। ওদের নিজেদের জন্য। ২০১৮ সালে ভোটের নামে যে ডাকাতি হয়েছে আর এখন যে ভোট হচ্ছে একই কায়দায় করার সুযোগ নাই। অতএব তারা ভিন্ন একটা পথ নিয়েছে।
ওইভাবে যদি তারা ভোট করতে যেত তাহলে পুলিশকে ম্যানেজ করতে হয়, বিজিবি আর্মি যা যা আছে সবাইকে টাকা-পয়সা দিতে হয়, রাতের বেলা বিরিয়ানি খাওয়াতে হয়, পার্টি দিছেন হয়, এটা লজ্জার ব্যাপার। তাই তারা একটি মিশিন বের করেছে। এইটা দিয়ে তারা সমস্ত দায় মেশিনের উপরে দিবে। আপনি বলতে পারবেন না ওরা কেড়ে নিয়ে গেছে।