ঢাকা: সোমবারের রেকর্ড দরপতনের পর মঙ্গলবারও ভয়াবহ দরপতনে দিনের লেনদেন শুরু হয়েছে। দিনের চার ঘণ্টার লেনদেনের মধ্যে প্রথম ঘণ্টা না পেরোতেই ৮০ শতাংশ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এতে বাজারের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স থেকে ৫৩ পয়েন্ট বা সোয়া শতাংশ হাওয়া হয়ে গেছে।
পতন ঠেকাতে সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর আগ থেকে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দেশের বড় ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিজেদের বা গ্রাহকের হয়ে শেয়ার বিক্রি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। ব্রোকারেজ হাউসগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন নির্দেশেও কোনো কাজ হয়নি।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবি শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু শেয়ার বিক্রির চাপ এত বেশি যে প্রতিষ্ঠানর চেষ্টা ধোপেই টিকছে না।
এ অবস্থায় প্রথম ঘণ্টার লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দরপতনের ভয়াবহতায় লেনদেন শুরুর ৫০ মিনিট পর বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক সোমবারের তুলনায় ৭১ পয়েন্ট বা পৌনে ২ শতাংশ হারিয়ে ৪০৫২ পয়েন্টে নেমেছিল। এ সময় ৮০ শতাংশেরও বেশি শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টা শেষে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩৩৮ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৭টির বা ১১ শতাংশের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৬১টি বা ৭৭ শতাংশ শেয়ারই দর হারিয়ে কেনাবেচা হতে দেখা গেছে।
সোমবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮৯ শতাংশ শেয়ারের দরপতনে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৮৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৪১২৩ পয়েন্টে নেমেছিল। সূচক পতনের হার ছিল ২ দশমিক ১১ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিলের পর শতাংশে হারে এটাই ছিল গত পৌনে ৫ বছরের সর্বোচ্চ দরপতন।
গত সপ্তাহের পুরোটা সময় জুড়ে দরপতন হয়েছিল। সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসের দরপতনে সূচকটি হারিয়েছিল ২৬২ পয়েন্ট। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর কোনো এক সপ্তাহে এর থেকে বড় সূচকের পতন হয়নি।
সার্বিক পরিস্থিতিতে এ অবস্থায় লেনদেনের শেষ পর্যন্ত পতন কোথায় গিয়ে ঠেকে তা নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। ১৯৯৬ ও ২০১০ সালের মত ফের মহাধসের আশঙ্কা শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।