ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রীর সফরে কলকাতায় এ ধরনের বিক্ষোভের নজির নেই। যাদবপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এবং শহরের আনাচে কানাচে বিক্ষোভের আবহ। অতিরিক্ত প্রশাসনিক তৎপরতার মধ্যে নরেন্দ্র মোদিকে যেতে হলো রাজভবনে। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে আগেই পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
কয়েকদিন বিক্ষোভের আগাম প্রস্তুতির কথা সবারই জানা। ফলে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা গতকালই বাতিল করা হয়। বিকাল ৪টার আগেই মোদির বিমান নামে কলকাতা বিমানবন্দরে। বাইরে তখন ব্যাপক বিক্ষোভ।
মোদিকে স্বাগত জানাতে বিজেপি নেতারা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বিমানবন্দর থেকে মোদিকে হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয় রেস কোর্সে। সেখান থেকে গাড়িতে করে রাজভবনে।
জানা গেছে, রেস কোর্স থেকে রাজভবনে যাওয়ার রাস্তা আগে থেকেই ফাঁকা করে রেখেছিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা যেন কোনো ভাবেই মোদির কনভয়ের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারেন, সেজন্য অনেক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছিল। পুলিশের সতর্ক নজর ছিল, ফাঁক গলে কেউ যেন প্রধানমন্ত্রীর পথে চলে না আসতে পারেন।
জানা গেছে, দু’দিনের কলকাতা সফরে গেছেন মোদি। কলকাতা বন্দরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে মিলেনিয়াম পার্কে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। পানিপথে যাবেন বেলুড় মঠেও। কলকাতায় পা রাখার আগেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মোদি টুইট করেন, আমি আনন্দিত এবং উৎসাহিত যে আজ এবং আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে কাটাব।
রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো। কেন্দ্রের কাছে আমার ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। বুলবুলের সাত হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসির বিরুদ্ধে আমরা। মানুষে মানুষে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা। আমরা চাই, সিএএ এবং এনআরসি বাতিল করুন।
বিমানবন্দরের বাইরে জাতীয় পতাকা, কালো বেলুন, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম-কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ এবং অর্জুন সিংহ এবং রাহুল সিংহ।