ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় ভিকটিম (ছাত্রী) নিজে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা ফৌজদারি কার্যবিধির ২২ ধারায় ভিকটিমের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় দেন। এদিন ভিকটিম একান্তভাবে আদালতের কাছে সেই দিনের ঘটনা সম্পর্কে বর্ণনা দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১ বছর বয়সী ওই ভিকটিম ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাবির রোকেয়া হলে থাকেন।
৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা হন তিনি। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে।
তখন ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে ৪০ থেকে ৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পিছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা একজন এসে তাকে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তার গলা চেপে ধরে।
মেয়েটি অজ্ঞান হলে পড়লে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি কিছুটা সুস্থ হলে ওই যুবক তাকে মারধর করে এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। ওই যুবক (আসামি) মেয়েটির (ভিকটিম) কাছে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করে।
পরে আসামি মেয়েটির কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, হাতঘড়ি, ব্যাগ ও নগদ দুই হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি দৌড়ে রিকশা করে তার বান্ধবীর বাসায় যান।
এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছেড়েছেন।
এদিকে গত বুধবার ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডে র্যাব আসামি মজনুকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর আসামির স্বীকারোক্তি অনুসারে ওই ছাত্রীর ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং আসামির ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাইলে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে আসামি রিমান্ডে আছেন।