ডেস্ক: সাতক্ষীরায় নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া নাগবাটি গ্রামের বিলের মধ্যে থেকে মরিয়ম খাতুন (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকার কামরাঙ্গীর চরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষন করার অভিযোগে ভিকটিমের বান্ধবী ও ৪ ধর্ষক সহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ৪জন ধর্ষনের কথা স্বাীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, ১৩ বছরের কিশোরীকে তার এক বান্ধবী ডেকে নিয়ে ধর্ষকদের হাতে তুলে দেয়। অতঃপর নরপিশাচরা ওই মেয়েকে গণধর্ষন করে। মেয়েটির ডাক চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও ৪ ধর্ষককে আটক করে পুলিশে দেয়। ঘটনার পর ভিকটিমকে উদ্ধারকারী এলাকাবাসী জানায়, মেয়েটি ৫জনের নাম বলেছে। ৫জন তাকে ধর্ষন করেছে। তার এক বান্ধবী তাকে ডেকে আনে বলে উদ্ধারকারীদের ভাষ্য।
সাতক্ষীরা
নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া নাগবাটি গ্রামের বিলের মধ্যে থেকে মরিয়ম খাতুন (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বিলের মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পুলিশ নিহত মরিয়মের লাশ উদ্ধার করে। নিহত মরিয়ম খাতুন ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে। সে চলতি বছরে শ্যামনগর সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
নিহতের পিতা আব্দুল কাদের জানান, মরিয়ম খাতুন তিন দিন আগে কাউকে কিছু না বলে এশার নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সেখান থেকে সে নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। তাকে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নিহতের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলে জানা যায়।
শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ বিলের মধ্যে থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। তিনদিন আগে সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। লাশ উদ্ধারের সময় তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।