রাতুল মন্ডল শ্রীপুর: বৃহস্পতিবার বেলা হাজারো মানুষের কোলাহলে ব্যস্ত থাকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তা। আর ব্যস্ত এই এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ্যে দুই ছাত্রীকে স্থানীয় কিশোরের মারধর করার বিষয়টি সামনে এসেছে।
পথচারীদের সাথে টহল পুলিশ এসে দুই কিশোরী শিক্ষার্থীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বখাটেকে আটক করলেও পরে প্রেম ঘটিত বিষয় বলে বখাটের বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
বখাটে কিশোর মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী আফছার উদ্দিন ফরাজীর ছেলে। সে স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
সিসি ক্যামেরা ধারণ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৭মিনিটে ওই কিশোরসহ দুই ছাত্রী মাওনা চৌরাস্তার শ্রীপুর সড়ক পারাপার হচ্ছে। সড়ক পার হওয়ার একটু পরই ওই কিশোর দুই ছাত্রীর পেছন থেকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন। এসময় আরো দুই কিশোর মোটরসাইকেলে এসে অভিযুক্ত কিশোরের সাথে যোগ দেয়। এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন দুই শিক্ষার্থী। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় দুই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল থেকে দ্রুতই চলে যায়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে ঘটনাস্থল থেকে তাদের হেফাজতে নেয়।
কিশোরের বাবা আফসার উদ্দিন ফরাজী জানান, ঐ ছাত্রী ও তাঁর ছেলে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর তিনি বিস্তারিত শুনেছেন।
সদ্য যোগ দেয়া শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক জহির রায়হান জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হলে ঘটনার জন্য কিশোরটি অনুতপ্ত হয়। তাৎক্ষণিক কিশোরী কোন অভিযোগ না করায় কিশোরের স্বজনেরা এসে অনুরোধ করার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গাজীপুর বারের আইনজীবি আসাদুল্লাহ্ বাদল জানান, কিশোরকে আটক স্বজনদের অনুরোধে ছেড়ে দিয়ে পুলিশ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এতে সমাজে এধরনের অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। অভিভাবক নিরাপত্তার অভাববোধে ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে ও বাল্য বিয়ের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সচেতন ভূমিকা পালন করা উচিত বলে মনে করি।