ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৪) দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (০৮ জানুয়ারি) রাতে তাদের আটক করা হয়।
বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
তিনি বলেন, মুক্তাগাছার এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধর্ষণের শিকার মাদরাসা ছাত্রী জানায়, মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) বিকেলে বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় যাই। বোরকা কেনার পর বাড়িতে ফেরার জন্য সিএনজি খোঁজার সময় পূর্বপরিচিত ওবাইদুলের সঙ্গে দেখা হয়। সে আমাকে বলে আমিও যাব, তাই তার সঙ্গে সিএনজিতে উঠি। ওই সময় সিএনজিতে কালো বোরকা পরা আরও একজন ছিল। সিএনজি ভিন্নপথে চলতে শুরু করলে আমি চিৎকার করি। এ সময় বোরকা খুলে এক যুবক আমার মাথায় পিস্তল ধরে বলে চিৎকার করলে মেরে ফেলব। এরপ আমাকে বোররচর ইউনিয়নে নির্জন এক বাড়িতে নিয়ে যায় তারা।
সেখানে শাকিল, ওবাইদুল, নাঈম আমাকে দলবেঁধে ধর্ষণ করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরদিন বুধবার সকালে ওই তিনজন আমাকে একটি গাড়িতে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি মা-বাবাকে জানালে আমাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, বোরকা কিনতে মুক্তাগাছায় গেলে শাকিল, ওবাইদুল ও নাঈম নামে তিন যুবক ওই কিশোরীকে তুলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। দুজনকে আটকের বিষয়টি সদর থানা থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।