শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচারণাই নয়, নির্বাচনের কোন কার্যক্রমে মন্ত্রী-এমপিরা অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
আজ আসন্ন দুই সিটির নির্বাচন নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুপুর সাড়ে ১২ টায় শুরু হওয়া কমিশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠক চলে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়মী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের দুটি বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রয়োজনীয় আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারনায় অংশগ্রহণ। এ বিষয়ে আমরা বলেছি বিদ্যমান আইনে যা আছে তার বাইরে যাওয়া সম্ভব না। অতি গুরুত্বসম্পন্ন কেউ নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।
মাহবুব তালুকদার বলেন, অতি গুরুত্ব সম্পন্ন সংজ্ঞায় যেসব বিষয় তার মধ্যে এমপি, মন্ত্রীরা পড়েন। আইনত তারা নির্বাচনী প্রচারকার্যে অংশ নিতে পারবেন না।
শুধু নির্বাচনী প্রচারকাজ নয়, কোন নির্বাচনী কার্যক্রমে তারা অংশ নিতে পারবেন না। তবে তারা যার যার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোন বিধিনিষেধ নেই। এছাড়াও দ্বিতীয়টি হলো ইভিএম কিভাবে ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সব কেন্দ্রের জন্য ব্যাকআপ সিস্টেম থাকবে। ইভিএম আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের নেতৃত্বে বৈঠকে অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী এবং দুই সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
তবে নির্বাচনী কাজে চট্টগ্রাম থাকায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দেবুল কুমার প্রমূখ।