ইরানে ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৮০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পর দক্ষিণ তেহরানের একটি শহরতলী এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা। তাৎক্ষণিকভাবে এ দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। এমনিতেই ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনায় এ অঞ্চলে যুদ্ধের দামামা বাজছে। ফলে প্রথমেই সংশয় জাগে, এটা ওই যুদ্ধেরই কোনো অংশ নয় তো! উল্লেখ্য, ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের দাবি এতে কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলার পর পরই এই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
বিমানটি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশ্যে ইমান খোমেনি বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়েছিল। কিয়েভে বরিসপিল বিমানবন্দরের স্টাফরা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, ওই ফ্লাইটে সাধারণত ইরানি শিক্ষার্থীরা থাকেন। তারা ছুটি কাটিয়ে এই ফ্লাইটে ইউক্রেনে ফিরে আসেন। তবে দুর্ঘটনা কবলিত বিমানে কোনো ইরানি বা অন্য কোন দেশের কতজন ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি। বোয়িং বলেছে, তারা দুর্ঘটনার বিষয়ে অবহিত এবং এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। এর আগে ইরানের জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান পিরহোসেন কোলিভান্দ দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেলকে জানিয়েছিলেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়। আমরা সেখানে উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছি।
মার্কিন হামলায় ইরান রেভ্যুলেশনারি গার্ডের জেনারেল কাসেমি সোলাইমানির মৃত্যুর জের ধরে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের কোনো যোগসূত্র এ দুর্ঘটনার সঙ্গে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।