রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। তার নাম মজনু। তার কাছ থেকে ভিকটিম ছাত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছে ৩জন।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম আজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সূত্র জানায়, সে পেশায় ফুটপাতের হকার। ওই এলাকায় হকারি শেষে রাতে আশেপাশে কোথাও থাকে। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী। র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির বয়স ২৮ বছর। গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর খোয়া যাওয়া মুঠোফোন ও অন্যান্য সামগ্রী কথিত মজনুর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সারওয়ার বিন কাশেম জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির ছবি দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক করে শনাক্ত করেছেন।
একই ঘটনায় আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেছিলেন, আমরা তিন জনকে শনাক্ত করেছি। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। প্রকৃত ধর্ষক নিশ্চিত হওয়ার পর যেকোনো সময় অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
ওই সময় র্যাব-১-এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে এক জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে র্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে শনাক্ত করা গেলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গত রোববার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই ঢাবি শিক্ষার্থী শেওড়া এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে থামে। ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তার গলা চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় ওই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে ধর্ষণ করে।
পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তিনি ভীষণভাবে ট্রমাটাইজড। তার চিকিৎসায় সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।