ধর্ষককে চিনতে পারবে মেয়েটি

Slider জাতীয় নারী ও শিশু ফুলজান বিবির বাংলা সারাদেশ


রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাহস ও বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাসিমা বেগম বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সে আসামীকে দেখলে চিনতে পারবে। আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ওই ছাত্রীকে দেখে আসার পর তিনি এ কথা জানান।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ওর সঙ্গে কথা বললাম, দেখলাম যে এই মেয়েটি অত্যন্ত সাহসী, সে সাহসের পরিচয় দিয়েছে। সে যেহেতু আসামির চেহারার একটি বর্ণনা দিতে পারছে, অবিলম্বে একটি স্কেচ এঁকে আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার ব্যবস্থা যাতে করা হয় সেটা আমি বলেছি।

নাসিমা বেগম বলেন, মেয়েটি দেরি না করে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। আলামত নষ্ট হতে দেয়নি। এখন পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়ে প্রকৃত ধর্ষককে শনাক্ত করা কঠিন হওয়ার কথা নয়।

সাহস আর মনের জোরের কারণে মেয়েটির অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

নাসিমা বেগম বলেন, ডিএনএ অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয় সার্ভারে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষিত থাকলে এ ধরনের অপরাধীকে ধরা অনেক সহজ হতো।
আলামত পরীক্ষা করে ডিএনএ মিলিয়েই ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করা যেতো। তাতে এ ধরনের অপরাধও কমে যেতো।

উল্লেখ্য, রোববার সন্ধ্যায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে শেওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন ওই তরুণী। কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পরপরই তিনি আক্রান্ত হন। মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় তিন ঘণ্টা ধরে। সেদিন গভীর রাতে তাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *