ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ফতুল্লার কায়েমপুর মুফতি নজরুল ইসলামের তিন তলা বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- শরীফ ও তার স্ত্রী ফরিদা। তারা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। দগ্ধ ফরিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে।
জানা গেছে, ফতুল্লার কায়েমপুরের ওই বাড়িটির নিচতলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকে। আর দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এবং ছাদে টিনের ঘর তৈরি করে সেখানে জামিয়া দারুস সালাম নামে মাদ্রাসা দিয়েছেন বাড়ির মালিক মুফতি নজরুল ইসলাম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে খোঁজখবর নিতে চাইলেও বাড়ির ম্যানেজার আ. ওহাব মিয়া কাউকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেননি। এ সময় দগ্ধ ফরিদার চিৎকার শুনে লোকজন জোর করে গেট খুলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে ঘরের ভেতর দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
তাদের উদ্ধার করে শহরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
ভাড়াটিয়ারা জানান, যে ঘরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানেই রয়েছে গ্যাসের চুলা। ঘরে গ্যাস লাইনে লিকেজ ছিলো বহু আগ থেকেই। বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে বারাবার জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিষয়ে ম্যানেজার আ. ওহাব মিয়া জানান, সামান্য পুড়েছে। এটা নিয়ে স্থানীয় লোকজন হইচই করছে। আমি হাসপাতালে যাচ্ছি তাদের খোঁজখবর নিয়ে পরে বিস্তারিত জানাবো।
ঢামেক সূত্র জানান, স্বামী শরীফের সামান্য দগ্ধ হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তার স্ত্রী ফরিদার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।