সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে কারাগারে বন্দী রেখে শাস্তি দিচ্ছে। এই মুহূর্তে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত। কিন্তু বিএসএমএমইউতে সেই চিকিৎসার সুযোগ নেই বলে আমরা জানি। আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। অন্যথায় তার কিছু হলে সবকিছুর জন্য দায়ী থাকবে সরকার। সোমবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে বলেন, দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ। তিনি কিছু খেতে পারছেন না। যা খাচ্ছেন তার বেরিয়ে আসছে। বিছানা থেকে দশ কদম দূরে বাথরুমে একাই যেতে পারেন না। যেতে হলে দুজনের সাহায্য নিতে হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি এখন ক্রিপল্ড অর্থাৎ পঙ্গু হয়ে গেছেন। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন। তিনি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার বয়স ৭৬। ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত। ফাস্টিংয়ে তারা ডায়াবেটিসের মিলিমোল ১৭/১৮ থাকে। তাহলে প্রশ্ন থাকে বিএসএমএমইউতে যদি উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব কেনো বিদেশে চিকিৎসা নিলেন? তাহলে কেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিদেশে হবে না? অথচ তার বাম হাত পঙ্গু হয়ে গেছে। তার বাম পায়ে গুটলি আছে। এসব বিষয়ে তার স্বজনরা দেখা শেষে মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন।