জ্ঞান ফিরে পেলেও পাশবিক নির্যাতনে আবারও জ্ঞান হারান ওই ছাত্রী

Slider জাতীয় টপ নিউজ বিচিত্র


ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ভুল করে কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছে বাস থেকে নেমেছিলেন। তিনি শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে ভুলক্রমে শেওড়ার আগেই কুর্মিটোলা হাসপাতালের কাছে নেমে যান। আর সেখানেরই নরপশুদের নজরে পড়েন তিনি। তারা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে উপর্যুপুরি ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মামা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ঠিক কোথায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, তা তারা এখনো জানতে পারেননি। ভাগনি মা-বাবা ও তার (মামা) সঙ্গে হাসপাতালে কথা বলেছেন। ভাগনি জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার কথা ছিল তার। এ সময় ভুল করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে তিনি বাস থেকে নেমে পড়েন। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় নরপশুরা।

রোববার গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার ফরেনসিক পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।

ওই ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছয় সদস্যের ওই কমিটির নেতৃত্বে আছেন গাইনি বিভাগের অধ্যাপক সালমা রউফ।

ধর্ষণের শিকার তরুণী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একটি হলের আবাসিক ছাত্রী।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যেতে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাকে আবাসিক হলে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়।

রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক হাসপাতালে তাকে যান। তারা নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।

ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাহান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাটি জেনেছে। ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পুলিশ হাসপাতালে গেছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী বিবিসিকে বলেন, রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান ওই ছাত্রী। পরে পাশবিক নির্যাতনে আবারও জ্ঞান হারান।

রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। তিনি তার বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে যান। পরে তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *