ছাত্রলীগকে নীতি-আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলতে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই সংগঠনের মধ্য দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। শনিবার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫’র পর অনেকেই ভেবেছিল আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু সেই আওয়ামী লীগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে। আবার আমরা সরকার গঠন করি। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগ বিরাট অবদান রেখেছে। সেইজন্য ছাত্রলীগকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি চাই ছাত্রলীগ যাতে আগামী দিনে আদর্শ নিয়ে চলে। জাতির পিতা ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের স্পপ্ন দেখেছেন। আমরা বাংলাদেশকে সেভাবেই গড়ে তুলবো। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যে পারি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী দিনের নেতৃত্ব যেন আদর্শ ভিত্তিক সংগঠনের মাধ্যমে আসে তা ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে আমি ছাত্রলীগের হাতে কাগজ কলম তুলে দিয়েছিলাম, খালেদা জিয়া তুলে দিয়েছিল অস্ত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ৩টা কম্পিউটার ছিল। ছাত্রলীগের নেতারাই প্রথম কম্পিউটার শিক্ষা শুরু করে। আর এখন আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখানে অনেক অবদান রয়েছে ছাত্রলীগের। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই ছাত্রলীগ এগিয়ে যাবে। সেটাই আমি আশা করি।
তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতায় একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন গড়ে তুলবে ছাত্রলীগ। এই সংগঠন যেভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অবদান রেখেছে সেই ঐতিহ্য তারা বজায় রেখে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ২০২০ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করব। ১০ই জানুয়ারি থেকে ক্ষণ গণনা শুরু হবে। আর ১৭ই মার্চ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করব। যেহেতু তার হাত ধরে গড়া ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বাঙালির মাতৃভাষার আন্দোলন শুরু করবার জন্য তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ছাত্রলীগসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনকে নিয়ে এই আন্দোলন গড়ে তুলেন। আমিও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই আমার রাজনীতিতে হাতেখড়ি। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৯ সালে। সেদিক থেকে বলতে গেলে ছাত্রলীগই হয়ে যাচ্ছে একটি মুরুব্বি প্রতিষ্ঠানের মতো।