ফেনী অফিস: ফেনীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী র্যালিতে শুক্রবার সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা ছাত্রদল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, র্যালি শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ফেনী মডেল থানায় ২৯, দাগনভূঞা থানায় ২৫, সোনাগাজী মডেল থানায় ১০ ও ফুলগাজী থানায় ৬ নেতা-কর্মী রয়েছেন।
এদিকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা দল নেত্রী ও ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু। তিনি আটককৃত নেতাকর্মীদের হয়রানী না করে অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন।
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিতে হামলা ছাত্রদলের ৩৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার বিকেলে ফেনী শহরে বের হওয়া বর্ণাঢ্য র্যালির পেছন থেকে হামলায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রদল এ হামলার জন্য সরকারি দল ও পুুলিশকে দায়ি করেছে। এর জের ধরে শহরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ছাত্রদলকর্মীরা। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা আজ বিকেলে শহরের ওয়পদা মাঠে মিলিত হয়। বিকেল ৪টার দিকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত র্যালিতে বাদ্যের তালে আনন্দঘন হয়ে উঠে।
র্যালিতে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত ও সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন মামুন ছাড়াও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, যুবদল সিনিয়র সহ-সভাপতি মাঈন উদ্দিন আনসারী, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি কফিল উদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল সহ বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে এসএসকে সড়কের এফ রহমান এসি মার্কেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিশাল এ মিছিলে হঠাৎ হামলায় পুরো র্যালি ম্লান হয়ে যায়। এসময় নেতাকর্মীরা বেপরোয়া হামলা, ভাঙচুর ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। মুহূর্তেই ফাঁকা হয়ে যায় এসএসকে সড়ক। একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: সাইফুল হকের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শহরসহ জেলাজুড়ে আফঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাতের অভিযোগ, বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি দেখে সরকারি দল র্যালির পেছন থেকে হামলা চালায়। একইভাবে মহিপালেও ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় ৬০-৭০ জন ছাত্রদল নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে তার দাবি।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: মাহবুব মোর্শেদ জানান, আভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে ছাত্রদলকর্মীরা তাণ্ডব চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকরাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়া হয়। এসময় তাদের ইট-পাটকেলে ৩-৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।