গাজীপুর: বিজয়ের পুরো মাস গাজীপুর বিএনপি অফিসে পুলিশি পাহড়া থাকায় নেতা-কর্মীরা নিয়মিত অফিসে আসতে পারেননি। ২০২০ সালের নববর্ষে পুলিশ পাহাড়া না থাকায় কিছু নেতা ভয়ে ভয়ে অফিসে এসেছেন। তারা বলেছেন, যতই ভয় থাকুক, ২০২০ সাল হবে বেগম জিয়া ও গনতন্ত্রকে মুক্তি করার বছর, আর এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
আজ বুধবার ২০২০ সালের প্রথম দিন শুভনববর্ষের মিষ্টি রোদের উজ্জ্বল সকালে বেশ দিন ধরে শৈত্য প্রবাহে ও পুলিশি পাহাড়ায় ঝিঁমিয়ে থাকা অবস্থা থেকে বেড়িয়ে গাজীপুর বিএনপি অফিসে আসা নেতা-কর্মীরা নতুন বছরে এই অঙ্গীকার করেন।
নেতারা জানান, ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবসে তারা কোন কর্মসূচি করতে পারেনি। ওই দিন আওয়ামীলীগ দলীয় কর্মসূচি পালন করায় পুলিশ তাদের কোন কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। এমনকি অফিস পর্যন্ত না খোলতে পরামর্শ দেয়।
নববর্ষের দিনে বিএনপি অফিসে আসা নেতা-কর্মীদের মধ্যে ছিলেন, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, সহসভাপতি এডভোকেট মেহেদী হাসান এলিস, সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন তালুকদার( ভিপি জয়নাল),বীর মুক্তিযোদ্ধা এস কে জবিউল্লাহ, প্রহলাদপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু ছাইদ আকন্দ, গাজীপুর মহানগর বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শিশু বিষয়ক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, জেলা বিএনপি নেতা ওসমান আলী, গাজীপুর মহানগর বিএনপি নেতা জহিরুল ইসলাম জিটু, আঃ বাতেন, আনিছুর রহমান, ইজ্জত আলী ও আক্তার হোসেন সহ অনেকে।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার বাকশালী কায়দায় দেশ দখল করে রেখেছে। মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার এখন নেই বললেই চলে। ন্যায় বিচার অনেকটাই অনুপস্থিত। ফলে সরকারের নির্দেশে আদালত জামিনযোগ্য মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছে না। বেগম জিয়াকে আটকে রেখে সরকার গনতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে প্রবীন এই নেতা বলেন, জাগো দল থেকেই আছি। বিএনপিকে রাজপথে নামতে দিলে বুঝা যাবে আওয়ামীলীগ কোথায় যায়! মামলা হামলা লুটপাট ও চাঁদাবাজী বন্ধ এবং গনতন্ত্রকে মুক্ত করতে বেগম জিয়ার কারামুক্তির কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন, তখনই জাতির কাছে পরিস্কার হবে, কোন দল জনপ্রিয়।
মানুষ আওয়ামীলীগের হাত থেকে মুক্তি চায় দাবী করে এই নেতারা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন এই সরকারের আমলে অসম্ভব। যদি ঢাকা সিটির নির্বাচন বিন্দুমাত্রও সুষ্ঠু হয়, তবে দেখা যাবে নৌকা পাহাড়ে উঠে যাবে।
প্রসঙ্গত: গাজীপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির আভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে নেতা-কর্মীরা অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। দলের সকল শাখা মিলে কোন কর্মসুচি সহজেই করতে পারছে না। একটি অংশকে পুলিশ প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালনের সূযোগ দিলেও অন্য সকলকে চাপের মধ্যে রাখছে। ফলে গাজীপুর বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে কোন কর্মসূচি পালন করতে পারছে কম।
এ ছাড়া প্রায় সব সময়ই পুলিশ গাজীপুর বিএনপি অফিসের সামনে বা ভেতরে অবস্থান করায় নেতা-কর্মীরা অফিসের আশপাশে এসে ঘুরাঘুরি করে চলে যায়। ভেতরে প্রবেশ করতে সাহস পায় না গ্রেফতারের ভয়ে।