এ্যারেস্ট করার জন্য তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আইসিটি আইনে মামলা হয়েছে আমাদের নামে। ডাকসুর নির্বাচনের তিন মাস মেয়াদ আছে। কারণ এই মামলায় দুই মাসের আগে জামিন হয় না। তাই তড়িঘড়ি করে আমাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে হাসপাতাল ত্যাগ করার সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ভিপি নুর বলেন, ঘটনার দিন লাইট বন্ধ করে আমাদের মারধর করে ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত ও সেক্রেটারি সাদ্দাম। তারা আমার ভাই আমিনুরকে পিস্তলের বাট দিয়ে মেরে তিন তলা থেকে ফেলে দেয়। অন্যদেরকেও এভাবে মেরেছে। সরকারের দুঃশাসন ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে কথা বলায় আমাকে হত্যা করতে চেয়েছে।
তিনি বলেন, আমি হাঁটতে পারি না, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারি না। কাঁশি দিলে পাজরে ব্যাথা পাই। মাথা ঘুরায়, চোখে ঝাপসা দেখি। আমার চিকিৎসার ব্যাপারে সন্দেহ আছে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য ৮ বার হামলা করা হয়েছে। এগুলো করা হচ্ছে সরকারের ইশারায়।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ছাত্রদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ছাত্রলীগ যেভাবে হামলা করেছে, যদি এদের বিচার না হয়। তাহলে অন্য সরকার আসলে এভাবেই চলতে থাকবে। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের যেন বিচার হয়। বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষে ছাপাই গাওয়া হচ্ছে। আমাকে মেরে ফেলার যেকোন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে।
ভিপি নুর বলেন, আর এগুলো সরকারের ইশারাতে হচ্ছে বলে আমি মনে করি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কয়েকবার মারধরের ঘটনা হয়েছে। এগুলোর কোন বিচার হয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার ওপর হামলা হচ্ছে। কথা না বলার জন্য নেতা ও গোয়েন্দারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছে। এখন মনে হচ্ছে মৃত্যু নিশ্চিত করতে আমার ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। মামলা করতে গেলে মামলা নেয় নাই। পরে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হলো।
আহতদের চিকিৎসার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজিউল হক বলেন, ভিপি নুরকে ছুটি দেয়া হয়েছে। গতকাল তার কাছে ছাড়পত্র বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া নাজমুল, ফারাবী ও ফারুককে ছাড়পত্র দেয়া হবে। তাদের অবস্থা ভালো। কোন সমস্যা হলে ফলোআপে আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া নেফ্রোলোজি বিভাগে সোহেল ও আমিনুর ভর্তি আছে।