রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল মারা গেছেন ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে বাসচাপায়। অপরজন নিহত হয়েছেন শ্যামপুরের ওটোবি তেলপাম্পের সামনে। তিনি অটোরিকশার নিচে পড়ে নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া ধোলাইপাড় এলাকায় মারা গেছেন শরীফ নামে এক যুবক। আজ সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্র জানায়, রাজধানীর সূত্রাপুর ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনের রাস্তায় বাসচাপায় নিহত ট্রাফিক কনস্টেবলের নাম হেমায়েত হোসেন (৫০)। আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তার বাড়ি নড়াইল কালিয়া উপজেলার বাবরা গ্রামে। বর্তমানে ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের ওয়ারী জোনের দায়িত্বরত ছিলেন।
ওয়ারী ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট আরিফ উদ্দিন তালুকদার জানান, সকালে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনের রাস্তায় দায়িত্বরত ছিলেন তিনি। সেখানে ভিক্টোরি ক্লাসিক পরিবহনের একটি বাস পেছন দিকে ঘুরাচ্ছিলো। তখন ওই বাসে চাপা পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো জানান, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এর চালককে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, রাজধানীর শ্যামপুর ওটোবি তেলপাম্পের সামনে অটোরিকশার নিচে চাপা পড়ে আনুমানিক ৬০ বছরের অজ্ঞাত এক ব্যক্তি মারা যান। আজ সকাল ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল ১০টায় মৃত ঘোষণা করেন।
অটোচালক জাহিদুল ইসলাম জানান, পোস্তগালা থেকে ওই লোক অটোতে ওঠেন। তার নামার কথা ছিলো ঢাকা ম্যাচ এলাকায়। কিন্তু পথিমধ্যে অটোবি তেল পাম্পের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসকে অভারটেক করার সময় একটি ট্রাক অটোরিকশাকে চাপ দেয়। ফলে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে বাকি যাত্রীদের তেমন কিছু না হলেও ওই লোকের মাথার ওপর চাপা পড়ে অটোরিকশা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন ধোলাইপাড় গীত সংগীত সিনেমা হলের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় শরিফ (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটলে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরীফের ভাই জানান, তিনি একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার চরচারুয়া গ্রামে। বর্তমানে ধোলাইপাড় এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। বাবা মৃত সেনো মিয়ার ৫ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় তিনি। শরীফ দুই মেয়ের জনক ছিলেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।