ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে আবারও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে হঠাৎ করেই পরপর দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও আতঙ্ক বিরাজ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে।
এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে আজ পর্যন্ত তিন দফায় মোট ৬টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো। গতকাল রোববার একটি বিস্ফোরণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের গাড়ির চাকা ফেটে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদল পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল নাহিয়ান খান জয় ককটের বিস্ফোরণের ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ি করছেন। তিনি বলেন, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তবে এই চক্রান্ত সফল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার জন্য একটি গোষ্ঠী এই তৎপরতা চালাচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদলের ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই।
মধুর ক্যান্টিনের সিসি ফুটেজ চেক করলে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এই ধরণের সন্ত্রাসী কাজ যারা করছে তাদের আমরা সতর্ক করছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দায়িদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।