ঢাকা: প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রশ্ন করার কারণে চাকরি হারিয়েছেন রাশিয়ান নারী সাংবাদিক আলিসা ইয়ারোভস্কায়া। চারদিকে এমন আলোচনা চললেও এটা এখনও পরিষ্কার হওয়া যায় নি, কেন তিনি রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল ইয়ামাল-রিজিয়ন থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। কোনো কোনো রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ১৯ শে ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট পুতিনের সংবাদ সম্মেলনের সময় তাকে প্রশ্ন করেছিলেন আলিসা ইয়ারোভস্কায়া। এতে মেরু অঞ্চলের ইয়ামাল এলাকার কর্তৃপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়েছে। এ জন্যই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়ে থাকতে পারে। তবে আলিসা ইয়ারোভস্কায়া বলেছেন, তিনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে পদত্যাগ করেছেন। তাকে চাকরিচ্যুত বা নিজে পদত্যাগ- যেটাই ঘটে থাকুক, রাশিয়াতে সাংবাদিকরা যে কঠিন অবস্থায় তাদের দায়িত্ব পালন করছেন এই কাহিনী তার ওপর আলোকপাত করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, ১৯ শে ডিসেম্বর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলন করছিলেন পুতিন।
এ সময় প্রায় ৩ ঘন্টা পরে মাইক্রোফোন দেয়া হয় ইয়ামাল অঞ্চলের সাংবাদিকের কাছে। মাইক্রোফোন হাতে নেন আলিসা ইয়ারোভস্কায়া। তবে পুতিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ ইয়ামাল রিজিয়নের অন্য একজন সাংবাদিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আলিসা ইয়ারোভস্কায়া তার অঞ্চলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব নিয়ে কথা বলতে থাকেন। বলেন, আর্কটিক সমুদ্র রুট ক্রমেই গলে যাচ্ছে। রেল সহ স্থানীয় অবকাঠামো নির্মিত হচ্ছে। তবে ওব নদীর ওপর একটি সেতুর নির্মাণকাজ থেমে আছে। এই সেতুটি নির্মিত হলে স্থানীয় দুটি শহর সালেখার্ড এবং ল্যাবিতনাঙ্গি সংযুক্ত হবে। আলিসা ইয়ারোভস্কায়া বলেন, আমাদের গভর্নর দমিত্রি আর্থিউখোভ এই কাজটিকে বাস্তবায়নে কোনোই উদ্যোগ দেখাচ্ছেন না। আমরা শুনতে পেয়েছি কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এ নিয়ে অনেক কমই আলোচনা হয়। তাই আমার প্রশ্ন হলো, এক্ষেত্রে কি কেন্দ্রীয় ‘ভারি ধাক্কা’র আশা করতে পারি?
জবাবে পুতিন বলেন, চেরি তোলার জন্য বিশেষ কোনো একটি প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তবে তিনি বলেন, ওই অঞ্চলের পরিবহন বিষয়ক অবকাঠামোতে ওব সেতুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সরকার অবহিত আছে এবং মনোযোগ দেবে। এ ঘটনার পরেই আলিসা ইয়ারোভস্কায়ার চাকরি হারানোর বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। রাশিয়ার ওয়েবসাইট উরা’র মতে, এ বিষয়ে একজন সাংবাদিকের হস্তক্ষেপের কারণে ইয়ামাল-নেনেটস জেলার সিনিয়র কর্মকর্তারা অসন্তুষ্ট হন এবং আলিসা ইয়ারোভস্কায়া অন্য একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে মাইক্রোফোন নিয়ে কথা বলায় টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আলিসা ইয়ারোভস্কায়া যে টিভি চ্যানেলে কাজ করতেন তার মালিক স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ। ওই সরকারের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে উরা বলছে, গভর্নরকে নিয়ে ওভাবে কথা বলা যথার্থ ছিল না