ঢাকা: ট্যাংকারডুবির ঘটনায় তেলের প্রভাব সীমিত জানিয়ে সুন্দরবনের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত নদীতে নৌযান চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দল।
বুধবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করে পর্যবেক্ষক দলটি।
সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পর্যবেক্ষক দলটি।
বিশেষজ্ঞ দলের পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ম্যানগ্রোভ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রের ওপর আপাতত তেলের প্রভাব সীমিত। স্থানীয় জনসাধারণের তৎপরতা, সরকার বিশেষ করে বনবিভাগের দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে শ্যালা নদীতে ট্যাংকার চলাচল নিষিদ্ধ করার সময়োপযোগী উদ্যোগ, সর্বোপরি জোয়ার-ভাটার পরিবর্তন পরিস্থিতির অনুকূলে থাকায় বাস্তুব্যবস্থার মধ্যে তেলের অনুপ্রবেশের সুযোগ অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, পরিবেশগত দৃষ্টিকোণ থেকে সুন্দরবনের মতো মহামূল্যবান এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইটের মাঝখান দিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ করা উচিত। যদিও এবার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অনুকূলে থাকায় এ দুর্ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রভাবকে সীমিত রাখতে সাহায্য করেছে, তদপুরি এরকম একটি সংবেদনশীল জায়গার মধ্য দিয়ে তেলের ট্যাংকার পরিবহন সুন্দরবনের পরিবেশ এবং একে ঘিরে বেঁচে থাকা মানুষের জীবনের জন্য অনেক বড় একটা হুমকি হয়ে যাবে।
তাই এ পথে নৌ চলাচল করতে দেয়ার আগে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে নেয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়।
৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কাছে শ্যালা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় তেলবাহী ট্যাংকার ওটি সাউদার্ন স্টার-৭ ডুবে যায়। সে সময় ট্যাংকারটিতে সাড়ে ৩ লাখ লিটার ফার্নেস অয়েল ছিল।
এ পরিস্থিতিতে ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়ে একটি চিঠি দেয় সরকার। চিঠির প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ওই বিশেষজ্ঞ দল পাঠায়। তারা সুন্দরবন এলাকায় ৬ দিন অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করে।